বিদ্যুৎ ছুটবে রাজারহাট থেকে পূর্ণিয়া

রাজারহাট থেকে বিহারের পূর্ণিয়া পর্যন্ত একটি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। যার দৈর্ঘ হচ্ছে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। এই লাইনটি দিয়ে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য ৪০০-৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়া করা যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৫ ১৭:৩৪
Share:

রাজারহাট থেকে বিহারের পূর্ণিয়া পর্যন্ত একটি ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি করছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন। যার দৈর্ঘ হচ্ছে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। এই লাইনটি দিয়ে পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য ৪০০-৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দেওয়া-নেওয়া করা যাবে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার বণিকসভা বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বারের উদ্যোগে বিদ্যুৎ শিল্প নিয়ে এক আলোচনা সভায় এই কথা জানিয়েছেন পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশনের পূর্বাঞ্চলের জেনারেল ম্যানেজার মুরারি মোহন বৈদ্য। তিনি বলেন, ‘‘এই লাইন তৈরির কাজ শেষ হয়ে গেলে অতি সহজেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে যেমন দেশের অন্য প্রান্তে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া যাবে, একই ভাবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি থেকেও এ রাজ্যে জলবিদ্যুৎ নিয়ে আসা যাবে।’’

এই ট্রান্সমিশন লাইনটি তৈরি করার জন্য পাওয়ার গ্রিড কর্পোরেশন ৮০০ কোটি টাকার মতো খরচ করছে। ২০১৭ সালের মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। রাজারহাটে ৩০ একর জমির উপরে নতুন সাবস্টেশন তৈরির কাজও প্রায় শেষের মুখে। মুরারি মোহনবাবু জানিয়েছেন, এই ট্রান্সমিশন লাইনটির সঙ্গে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ও নবগ্রামে তাঁদের যে সাবস্টেশন রয়েছে তার সঙ্গেও সংযোগ থাকবে। কারণ এই নবগ্রাম সাবস্টেশন দিয়েই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রফতানি করা হয়। যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ দেয় ২৫০ মেগাওয়াট।

Advertisement

গ্রিড কর্পোরেশনের কর্তাদের বক্তব্য, যত বেশি এই ধরনের নতুন ট্রান্সমিশন লাইন তৈরি হবে, এক জায়গার বিদ্যুৎ অতি সহজে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেওয়া যাবে। কোনও একটি বা দু’টি লাইনের উপর ভরসা করতে হবে না। নতুন লাইন দিয়ে বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়া হলে তাতে সংবহনজনিত ক্ষতিও (ট্রান্সমিশন লস) কম হবে বলে তাঁদের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন