cpm party office

জিরিয়ে নিতে শিবভক্তদের ভিড় সিপিএম অফিসে

সোমবার সকালে কাঁথি শহরে সিপিএমের এরিয়া কমিটির কার্যালয় চত্বরে প্রচুর শিবভক্তের ভিড় জমে। কার্যালয়ের ভিতরে কেউ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, কেউ জিরোচ্ছিলেন সামনের গাছতলায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁথি শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৬
Share:

সিপিএম কার্যালয় চত্বরে শিব ভক্তদের জমায়েতে। প্রতীকী ছবি।

তলে তলে রাম-বাম জোট হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। সেই বিতর্ক আরও উস্কে গেল সিপিএম কার্যালয় চত্বরে শিব ভক্তদের জমায়েতে। এই কাণ্ড ঘটেছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নিজের এলাকা কাঁথিতে।

Advertisement

সোমবার সকালে কাঁথি শহরে সিপিএমের এরিয়া কমিটির কার্যালয় চত্বরে প্রচুর শিবভক্তের ভিড় জমে। কার্যালয়ের ভিতরে কেউ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, কেউ জিরোচ্ছিলেন সামনের গাছতলায়। অনেকে পার্টি অফিসের শৌচাগারও ব্যবহার করেন। সব মিলিয়ে গোটা পার্টি অফিসই তখন শিবভক্তদের দখলে।

এঁরা মূলত কাঁথি-১ ব্লকের মাজিলাপুর, দেশপ্রাণ ব্লকের বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা। ওই সব এলাকায় প্রচুর শিবমন্দির রয়েছে। শিবের মাথায় ঢালার জন্য দল বেঁধে যান এই ভক্তরা। আর যাতায়াতের পথে শ্রান্ত শরীরে সিপিএম কার্যালয়ে একটু বিশ্রাম নিয়ে নেন। সিপিএমের কাঁথি এরিয়া কমিটির সম্পাদক হরপ্রসাদ ত্রিপাঠী মানছেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর শিবভক্ত এখানে আসেন। বিশ্রাম নেন। পরে আমাদেরই টাকা খরচ করে গোটা কার্যালয় চত্বর পরিষ্কার করাতে হয়।’’

Advertisement

একদা রাজ্যের মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তীর তারাপীঠ মন্দিরে যাওয়া নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি। এ বার কাঁথির সিপিএম কার্যালয়ে শিবভক্তদের জমায়েতেও প্রশ্ন উঠছে। বিশেষ করে রাম-বাম সমঝোতা নিয়ে কটাক্ষ হচ্ছে।

তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘‘শূন্য থেকে মহাশূন্যে পৌঁছনোর পথে নানা রকম অভিযোজন হচ্ছে। মহাশূন্যে যাওয়ার পথে কিছু কিছু নতুন আত্মঘাতী, স্ববিরোধী অভিযোজন ঘটাচ্ছে সিপিএম। এগুলো হচ্ছে তারই নমুনা।’’ বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিতেরও খোঁচা, ‘‘সিপিএমের এখন যা হাঁড়ির হাল, তাতে শিবভক্তদেরও নিজেদের দলীয় কার্যালয় আশ্রয় দিতে হচ্ছে।’’

সিপিএম নেতৃত্বের বক্তব্য, অযথা বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পথশ্রান্ত লোকজন পার্টি অফিসে এলে তাঁদের বসতে দেওয়াই স্বাভাবিক। তৃষ্ণার্তকে জল দেওয়ার মধ্যে রাজনীতি থাকতে পারে না।’’ ওই সিপিএম কার্যালয়ে বিশ্রামের ফাঁকে কয়েক জন শিবভক্ত বললেন, ‘‘লোকের বাড়িতে তো আর বিশ্রাম নেওয়া যাওয়া যায় না। কিন্তু পার্টি অফিস সবার আসার জায়গা। তাই একটু জিরিয়ে নিতেই এখানে আসা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন