Mamata Banerjee on Teacher Recruitment

‘প্লিজ! শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিন’, আদালতের উদ্দেশে মমতা, তোপ মামলার জট নিয়েও

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিয়েছেন, কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আদালত সংশোধন করুক। তাতে তাঁর কিছু বলার নেই। কিন্তু শূন্যপদে নিয়োগ যেন আটকে না থাকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:০২
Share:

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সরাসরি আদালতের উদ্দেশে আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের সরকারি পরিষেবা প্রদান কর্মসূচি থেকে মমতা বলেন, ‘‘আমরা রেডি (তৈরি) হয়ে বসে আছি। প্লিজ, শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করে দিন।’’

Advertisement

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে শাসকদলের একাধিক নেতা জেলবন্দি। হাজার দিনের বেশি হয়ে গেল চাকরিপ্রার্থীরা রাস্তায় বসে রয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে যখন প্রতিদিন বিরোধীরা রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে, তখন নিয়োগের বিষয়ে আদালতের উদ্দেশে আবেদন জানালেন মমতা। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগে অনেক শূন্যপদ পড়ে রয়েছে। কিন্তু কোর্টে আটকে রেখেছে।’’ মমতা এমনও বার্তা দিয়েছেন যে, কোনও অনিয়ম হয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হোক। আদালত সংশোধন করুক। তাতে তাঁর কিছু বলার নেই। কিন্তু শূন্যপদে নিয়োগ যেন আটকে না থাকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথায়, ‘‘এই শূন্যপদে লোক নিয়োগ হলে লক্ষ লক্ষ চাকরি হবে। কিন্তু সরকারের হাত-পা বাঁধা। কিছু লোক মামলা করে আটকে রেখেছে।’’ এই প্রসঙ্গেই মমতা সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপিকে এক বন্ধনীতে ফেলে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, ‘‘কিছু লোক আছে, যারা ভোটে জেতে না। কিন্তু কোর্টে চলে যায়।’’

Advertisement

বিচারব্যবস্থা বা কোনও কোনও বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে তৃণমূলের অনেকেই যখন মাঝেমধ্যেই প্রকাশ্য সমালোচনা করছেন, তখন ভিন্ন কথা বলেছেন মমতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কোনও বিচারপতি সম্পর্কে কিছু বলব না। তবে কোনও রায়ের সমালোচনা করতেই পারি। আমি আইন পড়েছি, আমি জানি কী করা যায় বা যায় না।’’ অনেকের মতে, লোকসভা ভোটের আগে চাকরিপ্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের উদ্দেশেও ‘বার্তা’ দিতে চেয়েছেন মমতা। তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, সরকার নিয়োগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু মামলার জটিলতায় তা আটকে রয়েছে। আর সেই মামলার নেপথ্যে রয়েছে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের মতো বিরোধীরা। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, এসএসসি-র গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি-সহ নানা স্তরে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ ঝুলে রয়েছে অনেক দিন। একের পর এক মামলা, প্যানেল বাতিল হওয়া, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে উঠে আসা বিষয় দেখে আদালতের নতুন নতুন নির্দেশে গোটা প্রক্রিয়াটাই থমকে রয়েছে। অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রী সরকারের মনোভাব বোঝাতে চেয়েছেন। সঙ্গে এ-ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, সরকারের ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই। অন্তরায় মামলার ‘জট’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন