প্রতীকী ছবি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া গেল বর্ধমানে। পুলিশ সূত্রের খবর, স্নেহা কারক নামে ওই ছাত্রী সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর পরিবার যাদবপুর থানায় একটি নিখোঁজ-ডায়েরিও দায়ের করেছিল। বেহালার সিরিটি অঞ্চলের বাসিন্দা স্নেহা যাদবপুরে তুলনামূলক সাহিত্যের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে বর্ধমানের এক গ্রামে ওই তরুণীকে উদ্দেশ্যহীন ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় পুলিশের। তখন ওই তরুণীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তারা জানতে পারে, তাঁর বাড়ি কলকাতায়। পুলিশকে ওই তরুণী জানান, তিনি কাউকে কিছু না জানিয়েই বর্ধমানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে চলে এসেছেন।
বর্ধমানের পুলিশ সব জেনে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনাটি জানায়। খবর যায় যাদবপুর থানায় এবং স্নেহার বাড়িতে।
স্নেহার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সময়ে তাঁর মোবাইল ফোনটি বাড়িতে ফেলে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ছ’টা নাগাদ এক সহপাঠীর ফোন থেকে বাবা তারকবাবুকে ফোন করে স্নেহা বলেন, ছ’টা নাগাদ বেহালার একটি বাসস্ট্যান্ডে আসতে। পেশায় ট্যাক্সিচালক তারকবাবু সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত সেই বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করেন। কিন্তু স্নেহা আসেননি।
মেয়ে আসছে না দেখে তারকবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। খোঁজ শুরু করেন মেয়ের। প্রায় সারা রাত খোঁজা হয় স্নেহাকে। যাদবপুর থানায় নিখোঁজ-ডায়েরি করা হয়।
তারকবাবু জানান, তাঁর মেয়ের মৃগী রোগ আছে। এক বার বিশ্ববিদ্যালয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল।