বিকাশ ভবনের সামনে চাকরিহারা শিক্ষকদের অবস্থান। —ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে বিকাশ ভবনের সামনে থেকে সেন্ট্রাল পার্কের সামনে সরে যেতে রাজি চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে তার আগে ওই জায়গায় পর্যাপ্ত জল, ছাউনি এবং আলোর ব্যবস্থা করে দিতে হবে বিধাননগর পুরসভাকে। যত দিন পর্যন্ত না সেই সব ব্যবস্থা হচ্ছে, তত দিন বিকাশ ভবনের সামনেই অবস্থান চালিয়ে যাবেন তাঁরা, জানালেন আন্দোলনকারীরা!
বিধাননগর উত্তর থানার তরফে ইতিমধ্যেই পুরসভাকে চিঠি দিয়ে বিষয়টা জানানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশ মতো সমস্ত পরিকাঠামো তৈরি করার কথা চিঠিতে বলা হয়েছে। সূত্রের খবর, পর্যাপ্ত ব্যবস্থা হওয়ার পরেই পুলিশের তরফে আন্দোলনকারীদের বিকাশ ভবনের সামনে থেকে সরে যেতে বলা হবে।
শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সেন্ট্রাল পার্কের সামনে চাকরিহারাদের কর্মসূচির অনুমতি দেন। তবে তিনি এ-ও জানান, একসঙ্গে ২০০ লোক নিয়ে কর্মসূচি করা যাবে। অদলবদল করে জমায়েত হবে। আন্দোলকারীদের ১০ জন প্রতিনিধির নাম পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে। জমায়েত নিয়ে পুলিশের তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। এ ছাড়াও, আদালত রাজ্যকে খাওয়ার জল, শৌচালয় থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেয়। সেই মতো ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য বিধাননগর পুরসভাকে চিঠি দিয়েছে পুলিশ।
চাকরিহারাদের দাবি, আগামী সোমবার পর্যন্ত সরকারকে সময় দেওয়া হচ্ছে। যদি সরকারের তরফে কেউ তাঁদের সঙ্গে দেখা না করেন, তবে বৃহত্তর আন্দোলনে পথে হাঁটবেন তাঁরা। শনিবার আবার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দেন আন্দোলনকারীরা। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের দাবি সংসদে তুলে ধরার জন্য বাংলার সমস্ত সাংসদকে চিঠি লিখবেন বলে জানান তাঁরা। আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষক বৃন্দাবন ঘোষের কথায়, ‘‘আমরা এত দিন ধরে ধর্না দিচ্ছি, তার মূল কারণই হল আমাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার হয়নি। আদালতের থেকেও বিচার পাইনি। এতগুলো মানুষকে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতও দায়ী।’’ ১৫ তারিখ বিকাশ ভবনের গেট ভাঙার যে অভিযোগ উঠেছে, তার নেপথ্যে রাজনৈতিক ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।