নিজেকে সুস্থ রাখার দিকে নজর থাকুক

কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসক আশিস কনট্র্যাক্টর জানান, ভারতে প্রতি বছর হৃদ্‌রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

Advertisement

সুনীতা কোলে

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৪:৫০
Share:

প্রতীকী চিত্র।

অসুস্থ হওয়ার পরে চিকিৎসা নয়, আগে থেকে নজর বেশি দিন নিজেকে সুস্থ রাখার দিকে। সম্প্রতি মুম্বইয়ে ‘রিইমাজিন হেলথ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এমনই পরার্মশ চিকিৎসক ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের।

Advertisement

আলোচনাসভায় আয়োজক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও বিশাল গোন্দাল জানান, বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয়দের মধ্যে জীবনযাত্রাজনিত রোগ ক্রমশ বাড়ছে। বিভিন্ন সংক্রামক রোগের তুলনায় জীবনযাত্রাজনিত রোগই মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর এর জন্য অনেকাংশে দায়ী প্রযুক্তিনির্ভরতা। খাবারের খোঁজ হোক বা বিনোদন, সব কিছুর জন্য স্মার্টফোন নির্ভরতা ডেকে আনছে বিপদ। কায়িক পরিশ্রম এবং সামাজিক মেলামেশার অভাব শুধু শারীরিক অসুস্থতাই নয়, ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে মানসিক স্থিতিরও। এখনই সাবধান না হলে এক দশক পরে বিষয়টি উদ্বেগজনক রূপ নেবে বলে জানান বিশাল।

কার্ডিয়াক রিহ্যাবিলিটেশন চিকিৎসক আশিস কনট্র্যাক্টর জানান, ভারতে প্রতি বছর হৃদ্‌রোগে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এই রোগে আক্রান্ত মহিলাদের সংখ্যাও উর্ব্ধমুখী। তার সঙ্গেই রয়েছে ডায়াবিটিস। এখন ভারতের জনসংখ্যার ১০%-র বেশি মানুষের ডায়াবিটিস রয়েছে। যাঁদের এখনও রোগ ধরা পড়েনি, সেই সংখ্যাও কম নয়। এ ছাড়া, বহু মানুষ প্রি-ডায়াবিটিক, অর্থাৎ তাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। দুই ক্ষেত্রেই আগে থেকে সাবধান হওয়া সব চেয়ে জরুরি বলে জানান তিনি। সুস্থ জীবনযাত্রা এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে দু’টি রোগই গোড়ায় রুখে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলে মত তাঁর।

Advertisement

অসুস্থ না হলেও নিয়মিত কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে নিজের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণে রাখার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও উঠে আসে জিওকিউআইআই (গোকি) সংস্থা আয়োজিত আলোচনায়। একটি ডায়গনস্টিক সংস্থার তরফে অবধূত জোশী জানান, ভারতীয়দের মধ্যে এ নিয়ে অনীহা দেখা যায়। স্কুল বা কর্মক্ষেত্রে বিনামূল্যে পরীক্ষার সুবিধা নিতেও অনেকে আগ্রহী নন। নিজেকে সুস্থ রাখার অভ্যাস ছোট থেকেই গড়ে তোলা দরকার বলে জানান তিনি।

বিশেষজ্ঞেরা জানান, রোগমুক্ত থাকার প্রথম ধাপ পর্যাপ্ত ঘুম। তার পরে প্রয়োজন পুষ্টিকর খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়াম। এগুলি মেনে চললেই দূরে থাকবে জীবনযাত্রাগত বহু সমস্যা। বিশাল জানান, ব্যস্ত জীবনে এই সহজ তিন ধাপও মেনে চলতে পারেন না অনেকে। কী খাবেন বা কী ধরনের ব্যায়াম করবেন, তা নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়ায়। এ ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে প্রযুক্তিই। এ কথা মাথায় রেখেই তাঁর সংস্থা আনতে চলেছে স্মার্ট ট্রেডমিল। বাড়িতেই হাঁটা বা দৌড়নোর সুবিধার সঙ্গে তৎক্ষণাৎ প্রশিক্ষকদের পরামর্শ মিলবে এতে। দূর থেকে ট্রেডমিলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন প্রশিক্ষকেরা। এ ভাবে প্রযুক্তির মাধ্যমেই প্রযুক্তির কুপ্রভাব কাটানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিশাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন