পাচারকারীদের হাত থেকে উদ্ধার হওয়া মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সংশোধনী খসড়া জমা পড়ল কেন্দ্রীয় নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রকের কাছে। ওই খসড়াতে যৌন ব্যবসা ছাড়াও অন্য কাজের জন্য পাচার হওয়া মেয়েদের কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি দিল্লিতে একটি বৈঠকের পরে মন্ত্রকের বিশেষ কমিটি ওই সংশোধনী খসড়া জমা দিয়েছে।
পাশাপাশি, পাচারকারীর শাস্তির বিষয়টিও রয়েছে খসড়ায়। যদিও সিবিআই-এর ধাঁচে কোনও তদন্তকারী সংস্থা গঠন করতে কেন্দ্র রাজি নয় বলেই সূত্রের খবর।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ‘‘অ্যান্টি ট্র্যাফিকিং’’ বিলের প্রথম খসড়া তৈরি হয়। খসড়াটি মন্ত্রক তাদের ওয়েবসাইটে দিয়ে এ বিষয়ে জনমত চায়। আর তখনই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। কারণ ওই খসড়ায় ‘পাচার’ কী, তার সবিস্তার ব্যাখ্যা ছিল না। ছিল না পাচারকারীর শাস্তি অথবা উদ্ধার হওয়া মেয়েদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও। ফলে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে মন্ত্রককে খসড়া বদলের প্রস্তাব দেওয়া হয়। এ নিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রকের তৈরি বিশেষ কমিটি বসে। সেখানেই একাধিক সংশোধন এনে নতুন খসড়া পেশ করা হয়।
কী বলা হয়েছে ওই নতুন খসড়ায়?
রাজ্যের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি কৌশিক গুপ্ত জানান, উদ্ধারের পর পাচার হয়ে যাওয়া মেয়েরা বাড়ি ফিরে আসার পরে অনেক ক্ষেত্রে অর্থাভাবে ফের পুরনো জায়গায় ফিরে যায়। কিংবা নতুন চক্রের পাল্লায় পড়ে ফের পাচার হয়ে যায়। সেই সব কথা মাথায় রেখে নতুন প্রস্তাবিত খসড়ায় উদ্ধার হওয়া মেয়েদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পাচারকারীদের শাস্তি দেওয়ার বিষয়টিতেও জোর দেওয়া হয়েছে। পাচারের রকমফের নিয়েও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে খসড়ায়।