Deucha-Pachami

প্রশাসনের আশ্বাসে ‘জট’ কাটল ডেউচায়! প্রত্যাহার করা হল বিক্ষোভ, তিন দিন পর শুরু কাজ

বীরভূমে মহম্মদবাজার ব্লকের ডেউচা পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় ‘জট’ কেটেছে। সমস্যার সমাধানে জেলা প্রশাসন বার বার বৈঠকে বসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১৩:২২
Share:

—ফাইল ছবি।

বীরভূমে মহম্মদবাজার ব্লকের ডেউচা পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি এলাকায় ‘জট’ কেটেছে। সমস্যার সমাধানে জেলা প্রশাসন বার বার বৈঠকে বসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হয়। এর পর শুক্রবার থেকে ফের কাজ শুরু হয়েছে খনি এলাকায়।

Advertisement

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই এলাকার লোকেরা নন, বাইরের কিছু মানুষ কাজ বন্ধ করেছিল। আমরা তাঁদের বোঝানোর পর কাজ আবার শুরু হয়েছে।"

জমির পাট্টা এবং প্রতিশ্রুতিমতো চাকরি না মেলার অভিযোগে মঙ্গলবার দুপুরে চাঁদা মৌজার তিন জায়গায় কাজ বন্ধ করিয়েছিলেন প্রকল্প এলাকা ঘেঁষা জনজাতি প্রধান সাগরবান্দি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। যার জেরে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কাজ বন্ধ ছিল। অবস্থা সামলাতে আলোচনার পথ নেয় জেলা প্রশাসন। সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। বৈঠকে ডাকা হয়েছিল এলাকার মাঝি হারাম (মোড়ল) এবং খনির পক্ষপাতী স্থানীয় জনজাতিদেরও।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সকালেই আন্দোলন উঠে যাওয়ার কথা ছিল। প্রশাসনের দাবি, ফের কেউ ‘ভুল’ বোঝানোয় তা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সাগরবান্দির মানুষজন। বিকেলে তাই সব পক্ষকে নিয়ে আবার বৈঠক করেন জেলাশাসক বিধান রায় ও পুলিশ সুপার আমনদীপ। তার পরেই আন্দোলন তুলে নেওয়ার বার্তা দেন বিক্ষোভকারীরা।

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে গত ৭ ফেব্রুয়ারি মহম্মদবাজারে প্রস্তাবিত ডেউচা-পাঁচামিতে খনি গড়ার কাজ শুরু করেছিল প্রশাসন। প্রাথমিক ভাবে চাঁদা মৌজায় সরকারি জমিতে কয়লা ভান্ডারের উপরে মজুত কালোপাথর (ব্ল্যাকস্টোন) উত্তোলনের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু প্রথম দিনই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয়েছিল প্রশাসনকে। তখন স্থানীয়েরা জানিয়েছিলেন, তাঁদের জমির নথি-সহ নবীকরণ-সহ বেশ কিছু দাবি রয়েছে। বার বার আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকেরা ছাড়াও ওই আলোচনায় যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত। আলোচনার পরে জেলা ও ব্লক প্রশাসন গ্রামে গ্রামে শিবির করে ওই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করে। প্রাথমিক বাধা কাটিয়ে কাজও শুরু হয়েছিল। সেই কাজ আটকে গিয়েছিল গত মঙ্গলবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement