চুরমার: দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। রবিবার সদাইপুরে। নিজস্ব চিত্র
জেলার তিন প্রান্তে পৃথক তিন দুর্ঘটনায় জখম হলেন ৪১ জন। প্রথম ঘটনায় দূরপাল্লার বাসের সঙ্গে ১২-চাকা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে জখম হন ১৮ জন যাত্রী। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে সদাইপুর থানার কাছাকাছি চিনপাই বাইপাসে, রানিগঞ্জ-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। আহতদের সিউড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে একটি বাস কলকাতা যাচ্ছিল। বাসে যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই কাজের সূত্রে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। জাতীয় সড়কে আচমকা উল্টোদিক থেকে আসা ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় বাসের। তাতেই জখম হন বাসের খালাসি-সহ ১৮ জন যাত্রী। তাঁদের মধ্যে ৫ জন মহিলা। সিউড়ি হাসপাতাল জানিয়েছে, আহতদের কয়েক জনের আঘাত গুরুতর হলেও, সকলেই স্থিতিশীল। রবিবার সকালে জেলা হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আহত যাত্রী অজিত কুমার, অখিল যাদব, নীতীশ কুমার বলেন— ‘‘শীতের রাত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঘুমের মধ্যেই সংঘর্ষের জেরে অচৈতন্য হয়ে পড়ি।’’ বাসের খালাসি নিমাই মির্ধা বলেন, ‘‘আমাদের বাস ঠিকই চলছিল। কিন্তু আচমকা ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসে ধাক্কা মারে।’’ সদাইপুর থানা জানিয়েছে, কোনও চালকেরই হদিস মেলেনি। ট্রাক ও বাস আটক করা হয়েছে।
অন্য দিকে, মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ এড়াতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে গেল বেসরকারি বাস। দুর্ঘটনায় আহত হলেন ২০ জন যাত্রী। ৩ জনের আঘাত গুরুতর। আহতদের কান্দি মহকুমা হাসপাতাল ও সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে ময়ূরেশ্বরের বরুটিয়া গ্রামের কাছে। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কান্দি থেকে সাঁইথিয়া যাচ্ছিল বাসটি। বরুটিয়া গ্রামের কাছে সামনে চলে আসা একটি মোটরসাইকেলকে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায় সেটি। পুলিশ জানায়, বাসটি আটক করা হয়েছে। চালক পলাতক। পাড়ুইয়ের কেন্দ্রডাঙ্গাল এলাকাতেও রবিবার সকালে ডাম্পারের সঙ্গে মারুতির মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মহিলা-সহ জখম হন তিন জন। ডাম্পার এবং মারুতি দু’টিই দু’দিকে উল্টে পড়ে। জখম তিন জনকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আহত মহিলা শ্রাবণী প্রধানকে দুর্গাপুরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।