রামপুরহাট হাসপাতালে তোলা নিজস্ব চিত্র।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে গুরুত্ব দিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন অংশে ১৯টি সিসিটিভি বসালেন রামপুরহাট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা-সহ পরিকাঠামোর উন্ননয়নে কী করা যায়, তা নিয়ে সোমবারই আলোচনায় বসেছিল হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতি। বৈঠক শেষে সমিতির চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সিসিটিভি বসানো হয়ে গিয়েছে। দু’জন নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই ৩৯ জন নার্সিং স্টাফও নিয়োগ হতে চলেছেন। হাসপাতালে পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। এই হাসপাতালের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন, তা করতে আমরা বদ্ধ পরিকর।’’
ঘটনা হল, সম্প্রতি ওই হাসপাতালে রোগীর পরিজনদের হাতে পরপর নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। কখনও চিকিৎসককে মেরে নাক ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পরিজনদের রোষ থেকে বাদ যাননি হাসপাতালে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরাও। ঘটনাগুলির জেরে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। রোগীর পরিজনদের এমন অসহিষ্ণু হয়ে পড়ার নেপথ্যে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক-কর্মীদের অভাবকেই দুষছিলেন অনেকে। এমনকী, নিগ্রহের শিকার হওয়ায় গণইস্তফার হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ। গোটা ঘটনার জেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্প্রতি মহকুমাশাসক একটি জরুরি বৈঠকও করেন। ওই বৈঠকেই হাসপাতালের বর্তমান ছবিটা পাল্টাতে ছ’টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই অন্যতম ছিল হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো।
এ দিনের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসডিও (রামপুরহাট) সুপ্রিয় দাস, হাসপাতালের সুপার সুবোধকুমার মণ্ডল, রামপুরহাট থানার আইসি স্বপন ভৌমিক-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। সুবোধবাবু জানান, প্রত্যেকটি সিসিটিভিতে নজরদারি রাখার জন্য তাঁর ঘরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তিনি নিজেই কড়া নজর রাখবেন। পাশাপাশি সুপার বলেন, ‘‘হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিবেশর উন্নতির জন্য নতুন ইউএসজি যন্ত্র স্বাস্থ্য ভবন থেকে দেওয়া হবে বলে আশ্বাস মিলেছে। পাশাপাশি এমআরআই চালু করা নিয়েও কথাবার্তা চলছে।’’ অন্য দিকে, সুপ্রিয়বাবু জানান, হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি পুলিশ ক্যাম্প করার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, তার জন্য হাসপাতাল চত্বরে একটি ঘর দেখা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন।