Murder

যুবকের দেহ, ধৃত দুই বন্ধু

মৃতদেহের ঠিক পাশেই পড়েছিল  একটি রক্তমাখা বাঁশের টুকরো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইলামবাজার শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২১ ০৬:৪৪
Share:

শোকার্ত: মৃতের পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র

বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে ইলামবাজারের বিলাতি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হিঙ্গনপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শ্রীকান্ত বাগদি (২১)। তাঁর বাড়ি স্থানীয় সুলতানপুর গ্রামে। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতেরা হল লক্ষ্মী টুডু ও রতন হাঁসদা।

Advertisement

মৃতের পরিবারের দাবি, সে পেশায় প্যান্ডেল কর্মী ছিল শ্রীকান্ত রবিবার রাতে কয়েক জন বন্ধুর সঙ্গে পাশের গ্রাম বিলাতি আদিবাসী পাড়ায় পুজোর বিসর্জনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। সারা রাত তিনি বাড়ি ফেরেননি। ওই গ্রাম পেরিয়ে হিঙ্গনপুরে এ দিন সকালে তাঁর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশ ও পরিবারের লোকজনদের। মৃতদেহের ঠিক পাশেই পড়েছিল একটি রক্তমাখা বাঁশের টুকরো। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের লোকজন। হাঁসড়া থেকে কেন্দ্রডাঙ্গাল যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভও দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, শ্রীকান্তকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। দোষীদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ঘণ্টাখানেক বিক্ষোভ চলার পরে বোলপুরের এসডিপিও অভিষেক রায়ের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রীকান্তের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, পুরনো কোনও আক্রোশের কারণেই শ্রীকান্তকে খুন করা হয়েছে। মৃতের দাদা বিকাশ বাগদি বলেন, “আমাদের সন্দেহ, কেউ বা কারা ভাইকে পিটিয়ে খুন করেছে। রবিবার ওর সঙ্গে কিছু বন্ধুও ছিল। কিন্তু, এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে তাদেরও কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে। সেটি আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।’’ এসডিপিও, “ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃতের পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই আমরা দু’জনকে গ্রেফতার করেছি। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন