tmc

‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে’ ধৃত ছয়

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ দফায় দফায় এলাকায় তল্লাশি চালায়। বেলিয়াড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ছ’জনকে। ধৃত মাঝু মণ্ডল, শেখ রাজেশ, আব্বাসউদ্দিন মোল্লা, গিয়াসুদ্দিন মিদ্যা, আবু বক্কর পালোয়ান এবং শেখ সমীরকে শুক্রবার বিষ্ণুপুর আদালতে  তোলা হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতেরা সকলেই দলীয় কর্মী-সমর্থক বলে স্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:২৫
Share:

আদালতের পথে। নিজস্ব চিত্র

শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর ‘কোন্দলে’র জেরে বৃহস্পতিবার উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বিষ্ণুপুরের উলিয়াড়া পঞ্চায়েতের বেলিয়াড়া এলাকায়। আক্রান্ত হন সামসুর আলি পালোয়ান নামে তৃণমূলের এক কর্মী। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে উত্তপ্ত হয়েছিল এলাকা। সেই ঘটনার জেরে পুলিশ ছয় তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ দফায় দফায় এলাকায় তল্লাশি চালায়। বেলিয়াড়া থেকে গ্রেফতার করা হয় ছ’জনকে। ধৃত মাঝু মণ্ডল, শেখ রাজেশ, আব্বাসউদ্দিন মোল্লা, গিয়াসুদ্দিন মিদ্যা, আবু বক্কর পালোয়ান এবং শেখ সমীরকে শুক্রবার বিষ্ণুপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের ১৪ দিনে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। ধৃতেরা সকলেই দলীয় কর্মী-সমর্থক বলে স্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি শুভাশিস বটব্যাল বলেন, “ঘটনার দিকে নজর রেখেছি। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উভয় গোষ্ঠীকে নিয়ে জেলায় বসে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা হবে। কেউ আইন হাতে তুলে নিলে, তার দায় দল নেবে না।”

Advertisement

অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর কয়েকজন লোহার রড ও লাঠি নিয়ে আক্রমণ করে উলিয়াড়া গ্রামের সামসুরকে। সামসুর ব্যক্তিগত কাজে জয়কৃষ্ণপুর গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁকে গ্রামে তুলে এনে কয়েকজন তৃণমূল কর্মী মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। হামলাকারীরা উলিয়াড়া পঞ্চায়েতের প্রাক্তন তৃণমূল প্রধান বাবলু শেখের গোষ্ঠীর লোক বলে দাবি পঞ্চায়েতের বর্তমান তৃণমূল প্রধান তসমিনা খাতুনের। সামসুরের মার খাওয়ার খবর শুনেই ময়দানে নেমে পড়েন তাঁর গোষ্ঠীর লোকজন। খবর পেয়ে রাধানগর ফাঁড়ি ও বিষ্ণুপুর থানার পুলিশকর্মীরা গ্রামে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ দিনও ওই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তবে পুলিশের নজরদারি থাকায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন