প্রকল্পের সুবিধে কতটা মিলছে, জানতে সমীক্ষা

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে অন্তর্ভূক্ত উপভোক্তারা প্রকল্পের সুবিধা কতটা পাচ্ছেন, অসুবিধাগুলি কী কী, সমস্যা মেটানোর পথই বা কী— এমনই নানা বিষয়ের হালহকিত জানতে দেশের ছ’টি রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৬ ০৭:২৩
Share:

সিউড়ির রামকৃষ্ণ সভাগৃহে চলছে অনুষ্ঠান।— নিজস্ব চিত্র

জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে অন্তর্ভূক্ত উপভোক্তারা প্রকল্পের সুবিধা কতটা পাচ্ছেন, অসুবিধাগুলি কী কী, সমস্যা মেটানোর পথই বা কী— এমনই নানা বিষয়ের হালহকিত জানতে দেশের ছ’টি রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিলেন রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। পূর্ব ভারতের মধ্যে তাঁদের গন্তব্য ছিল বাঁকুড়া ও বীরভূম জেলা।

Advertisement

গবেষক জাঁ ড্রেজে ও রিকিতা খেরার নেতৃত্বাধীন পড়ুয়াদের গবেষণায় কী উঠে এল, তা নিয়ে একটি জনশুনানি হল সিউড়িতে। সোমবার সিউড়ির রামকৃষ্ণ সভাগৃহে আয়েজিত ওই শুনানিতে যোগ দিলেন সমীক্ষক দলের সদস্যরা, খাদ্য সুরক্ষায় আওতায় থাকা বিভিন্ন গ্রামের উপভোক্তারা। ছিলেন সমাজ বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক এবং সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকও। মিলিত আয়োজক রাঁচী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ, প্রতীচী ইনস্টিটিউটও সিউড়ির একটি এনজিও।

শুনানিতে উঠে এল, এই প্রকল্পে অন্তর্গত এক জন উপভোক্তার প্রাপ্য ঠিক কতটা, সেটাই অধিকাংশ জানেন না! রেশন ডিলাররা কার্ড অনেক সময় নিজেদের কাছে রেখে দেন অথবা কার্ড থাকে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি তত্ত্বাবধানে। রসিদ মেলে না জিনিস নিলেও। যে যে সূচকের উপরে নির্ভর করে তালিকা তৈরি সেখানেও রয়েছে ত্রুটি-বিচ্যুতি। একই সঙ্গে প্রাপ্য জিনিসের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন উঠল বৈঠকে। এ দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপমেন্ট অফ এডুকেশনাল অ্যাক্টিভিটিস এর ডিরেক্টর অচিন চক্রবর্তী, প্রতীচী ট্রাস্ট্রের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অন্তরা দেবসেন, জেলা খাদ্য নিয়ামক দফতরের মুখ্য পরিদর্শক উজ্জ্বল সরকার, অধ্যাপক সব্যসাচী রায়চৌধুরী প্রমুখ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement