শিশুকে খুনের নালিশ, আটক

তরুণী বধূর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলেও তাঁর বছর দুয়েকের শিশুপুত্রকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি প্রেমিক। আগের পক্ষের সেই শিশুকেই খুন করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি শহরের স্টেশন মোড় লাগোয়া বস্তিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৭ ০২:২৫
Share:

ধৃত। সিউড়িতে। নিজস্ব চিত্র

তরুণী বধূর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলেও তাঁর বছর দুয়েকের শিশুপুত্রকে কিছুতেই মেনে নিতে পারেনি প্রেমিক। আগের পক্ষের সেই শিশুকেই খুন করার অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি শহরের স্টেশন মোড় লাগোয়া বস্তিতে।

Advertisement

পুলিশ জানায়, মৃত শিশুটির নাম রাহুল বাগদি। ঘটনার পরে উত্তেজিত পড়শিরা চাঁদ বাগদি নামে অভিযুক্ত যুবককে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। আটক করা হয়েছে শিশুর মাকেও।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর কুড়ির চাঁদ স্টেশন মোড় সংলগ্ন ওই বস্তিতে থাকে। সঙ্গে থাকেন বাবা পবন বাগদি। পাথরচাপুড়ির মেলার পরে পরেই দিন পনেরো আগে প্রিয়া নামে স্বামী-বিচ্ছিন্না এক তরুণীকে চাঁদ নিজের বাড়িতে এনে তোলে। মেয়েটির সঙ্গে ছিল বছর দুয়েকের ছেলে রাহুল। কিন্তু, প্রথম থেকেই শিশুটিকে সহ্য করেত পারছিল না ওই যুবক। অভিযোগ, বাড়িতে আনা ইস্তক শিশুটির উপরে অত্যাচার চালাচ্ছিল চাঁদ। এই নিয়ে প্রতিবাদ করেও লাভ হয়নি।

Advertisement

পড়শিদের দাবি, বৃহস্পতিবার রাতেও রাহুলকে পিটিয়েছিল চাঁদ। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তাঁরা দেখতে পান, আগের রাত থেকে ওই যুবকের অত্যাচারে একেবারে নেতিয়ে পড়েছে শিশুটি। সিউড়ি জেলা হাসপাতালে পাঠানোর পথেই মারা যায় শিশুটি। শিশুটির ময়নাতদন্ত করেছে হয়েছে জেলা হাসপাতালে।

পড়শি সুখি বিবি, তাসলিমা বিবি, আশা বাগদিরা বলেন, ‘‘প্রিয়া ওই শিশুর মা হয়েও চাঁদের অত্যাচারের কখনও প্রতিবাদ করেনি। এ দিন সকালে বাচ্চাটার আওয়াজ না পেয়ে বাড়িতে ঢুকে দেখি নেতিয়ে পড়েছে।’’ এর পরেই চাঁদ ও প্রিয়ার বিরুদ্ধে এলাকায় ক্ষোভ চরমে ওঠে।

চাঁদের বাবা বলেন, ‘‘এক দিন হঠাৎ ওই মেয়ে আর তার বাচ্চাকে নিয়ে এসে ছেলে বলল, বাবা আমি এর সঙ্গে থাকব। আপত্তি করিনি। তবে, সকালে ঠিক কী ঘটেছে জানি না। তার আগেই কাজে বেরিয়েছিলাম। তবে ওরা যে বাচ্চাটাকে মারধর করত সেটা মিথ্যে নয়।’’

এ দিন সিউড়ি মহিলা থানার কর্মীদের পাহারায় হাসপাতাল চত্বরে বছর আঠারো-উনিশের প্রিয়া জানায়, তার বাড়ি আসানসোলে। আগের স্বামী ছেড়ে দেওয়ার পরে চাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে তার ছেলেকে চাঁদ পছন্দ করত না।

প্রিয়ার দাবি, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতে চাঁদ ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিল বাচ্চার মাথায়। পিঠে ঘুসিও মেরেছিল। বাধা দিলে গেলে আমাকেও মারধর করে। এ দিন সকালেও পেটায়। তার পরেই ছেলেটা শেষ হয়ে গেল।’’

যা শুনে পড়শিদের প্রশ্ন, এতই যখন অত্যাচার, কেন তাঁদের ডাকেনি ওই তরুণী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন