চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন প্রশাসনের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
সরকারি প্রকল্পের সুফল প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা তা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে পথে নামলেন প্রশসনিক কর্তারা। এই লক্ষ্যে একটি দল (প্রশাসনিক ভাষায় ‘জনসংযোগ টিম’) তৈরি হয়েছে। যে দলের সদস্যেরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের অভাব অভিযোগ শুনছেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘জন সংযোগ টিমে’র সদস্যেরা গ্রাম পরিদর্শন করছেন। সরকারি পরিষেবা মানুষ ঠিকঠাক পাচ্ছেন কিনা, তা জানতে চাইছেন আধিকারিকেরা। সোমবার সকাল থেকে তাঁরা ঝালদা ১ ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরেছেন। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছেন। গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের সমস্যার কথাও আধিকারিকদের জানিয়েছেন।
জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, ঝালদার মহকুমাশাসক, ঝালদা ১ ব্লকের বিডিও এবং ব্লকের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকেরা এদিন গ্রাম পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন। সাতসকালেই তাঁরা পৌঁছন প্রত্যন্ত কুদলং আইসিডিএস সেন্টারে। সেখানে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। এরপর চান্দাই আইসিডিএস সেন্টার হয়ে তাঁরা হাজির হন ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পর হাসপাতাল চত্বর ঘুরে দেখেন ‘জনসংযোগ টিমের’ সদস্যেরা। সূত্রের খবর, ওই হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক চিকিৎসক নেই বলে পরিদর্শনে আসা কর্তাদের জানানো হয়েছে। হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ অন্য কয়েকটি সমস্যার কথাও আলোচনায় উঠে আসে। সেই সমস্যাগুলি খাতায় লিখে নিয়েছেন আধিকারিকেরা।
আধিকারিকদের পরবর্তী গন্তব্যস্থল ছিল ঝালদা প্রাইমারি স্কুল। সেখানে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে বলে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয় প্রশাসনিক কর্তাদের। তারপর আধিকারিকেরা মাহাতোমারার ঠাকুরদাস মাহাতোর রেশন দোকান পরিদর্শন করেন। সূত্রের খবর, আধিকারিকদের সামনে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, রেশন ডিলার তাঁদের রশিদ দেন না। তখনই আধিকারিকেরা সংশ্লিষ্ট ডিলারকে সাফ জানিয়ে দেন, রেশন নিয়ে কোনও অভিযোগ শুনতে চায় না প্রশাসন।
পরিদর্শন শেষে ব্লক অফিসে একটি ‘সমন্বয় বৈঠক’ করেন আধিকারিকেরা। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সবুজসাথীর মতো সরকারি প্রকল্পগুলির শংসাপত্র কয়েকজন প্রাপকের হাতে তুলে দিয়ে ঝালদা ছাড়েন ‘জনসংযোগ টিমে’র সদস্যেরা। ঝালদার মহকুমাশাসক সুশান্তকুমার ভক্ত বলেন, ‘‘কয়েকটি সমস্যার বিষয় জানতে পেরেছি। সেগুলি সমাধানে সচেষ্ট হবো। সময় থাকতেই সমস্ত দফতরকে কাজ শেষ করার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।’’