Visva Bharti

এ বার ‘বুড়ো খোকা’ বলে সমালোচকদের বিদ্যুৎ-বাণ! ‘অশিক্ষিত’ বলেও তোপ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

গত ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই সময়ে নিজের সঞ্চিত ‘অভিজ্ঞতা’র কথা বুধবার শান্তিনিকেতনের মন্দিরে সাপ্তাহিক উপাসনার সময় তুলে ধরেন বিদ্যুৎ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১২:৩৮
Share:

আবার বিতর্কিত মন্তব্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। — ফাইল চিত্র।

আগামী শুক্রবার সমাবর্তন অনুষ্ঠান বিশ্বভারতীর। তার আগে বুধবার আবার বোমা ফাটালেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচকদের ‘অশিক্ষিত’, ‘অল্পশিক্ষিত’, ‘বুড়ো খোকা’ ইত্যাদি বিশেষণে বিঁধেছেন তিনি। যদিও বক্তব্যে সরাসরি কারও নাম করেননি।

Advertisement

গত ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ। এই সময়ে নিজের সঞ্চিত ‘অভিজ্ঞতা’র কথা বুধবার শান্তিনিকেতনের মন্দিরে সাপ্তাহিক উপাসনার সময় তুলে ধরেন বিদ্যুৎ। বলেন, ‘‘এখানে অনেক অশিক্ষিত এবং অল্পশিক্ষিত মানুষেরা আছেন যাঁরা নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য শব্দবাণের দ্বারা বিশ্বভারতীকে কলুষিত করে যাচ্ছেন। আমি বলি এঁরা বুড়ো খোকা। বুড়ো বয়সে মানুষের ভারসাম্য হয়তো নষ্ট হয়, সেই জন্যই বোধ হয়। কারণ বিশ্বভারতীর কোনও কাজে তাঁদের পাওয়া যায় না। কিন্তু তাঁরা প্রতিনিয়ত বিশ্বভারতীর সমালোচনা করতে উৎসুক।’’ বিদ্যুতের সংযোজন, ‘‘সেই বুড়ো খোকাদের জন্য এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমি প্রস্তাবনায় কিছু কিছু শব্দের ব্যাখ্যা করি। যে ব্যাখ্যা আমার নয়। এই ব্যাখ্যার ভিত্তি গুরুদেবের লেখা। অর্থাৎ আমি এটাই বলতে চাইছি, যাঁরা বক্তৃতা করেন বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে তাঁদের পড়াশোনার ব্যাপারে আমার সন্দেহ আছে।’’ বিদ্যুৎ সরাসরি কারও নাম করেননি। তবে তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন তাঁর নিশানায় কতিপয় আশ্রমিক, প্রাক্তনী এবং রাবীন্দ্রিক।

আশ্রমিক, প্রাক্তনী এবং রাবীন্দ্রিকদের নিয়ে এর আগেও কটু মন্তব্য শোনা গিয়েছে বিদ্যুতের কণ্ঠে। কিছু দিন আগেই তিনি অভিযোগ করেছিলেন, আশ্রমিক, প্রাক্তনী এবং রাবীন্দ্রিকেরা কেবল বিশ্বভারতীকে ভোগ করতেই অভ্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকার হয় এমন কোনও কাজে তাঁদের অনীহা। যার কড়া নিন্দা করেছিলেন প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর। বিদ্যুতের এ বারের মন্তব্য নিয়ে সুপ্রিয়র কটাক্ষ, ‘‘উনি একমাত্র পণ্ডিত। আর আমরা সকলে বোকা! আমরা সকলে খারাপ লোক, অশিক্ষিত— এটা উনি বলেছেন। ওঁর বক্তব্য মেনে নেব। উনি এখানে রক্ষাকর্তা হিসাবে এসেছেন।’’

Advertisement

একই সুরে প্রবীণ আশ্রমিক স্বপনকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘প্রায় প্রতি দিনই বিশ্বভারতীর উপাচার্য এমন এক একটি বিতর্কিত মন্তব্য করছেন যা শুনলে মনখারাপ হয়ে যায়। মর্মাহত বোধ করি। এটা এই পরিবেশের সঙ্গে মানায় না। এই মাটিতে দাঁড়িয়ে ওঁর মতো এক জন শিক্ষিত মানুষের এই কথা বলা শোভা পায় না। ওঁর কথা শুনে অবাক হয়ে যাচ্ছি।’’

বিদ্যুতের আমলেই অতি সম্প্রতি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি বিতর্ক শুরু হয়েছে বিশ্বভারতীর। যা নিয়ে এখনও জারি টানাপড়েন। এই আবহে নতুন বিতর্কের জন্ম দিল বিদ্যুতের এই শব্দবাণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন