Birbhum

Birbhum: বিজেপি করার ‘অপরাধে’ কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে দোকান ভাঙার অভিযোগ, নিশানায় শাসক

আমোদপুর তৃণমূল সভাপতি রাজীব অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বীরভূম জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি জানান, এমন কোনও খবর তাঁর কানে আসেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আমোদপুর শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০২২ ১২:০৭
Share:

রাতের অন্ধকারে দোকান ভাঙার অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।

বিজেপি করার ‘অপরাধে’ রুজিরুটির একমাত্র উৎস ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তৃণমূলের নেতা দাঁড়িয়ে থেকে ওই দোকান ভাঙেন। জেসিবি দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ঘর। মঙ্গলবার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল বীরভূম জেলার আমোদপুর এলাকায়। যদিও ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

Advertisement

বীরভূমের আমোদপুর এলাকার বাসিন্দা পরী মণ্ডল। পেশায় ব্যবসায়ী পরী স্থানীয় বিজেপি নেতাও বটে। অভিযোগ, সোমবার রাতে তাঁর দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। অভিযোগের তির আমোদপুর তৃণমূল সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের দিকে। পরীর দাবি, আমোদপুর বাজারে তাঁর দোকান দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি ওই দোকান নিয়ে দোকান মালিকের সঙ্গে সমস্যা বাধে। বাড়ির মালিক উঠে যেতে বললে আদালতের দ্বারস্থ হন পরী। বিজেপি নেতার দাবি, আদালতের তরফে দোকান না ভাঙার নির্দেশও তাঁদের কাছে রয়েছে। কিন্তু, তার পরও সোমবার রাতে তাঁর দোকান ভেঙে ফেলা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি বিজেপি করেন বলে তাঁর উপর রোষ রয়েছে শাসক দলের। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির নেতৃত্বে একটি সালিশি সভা হয়। সেখানে সাদা কাগজে লেখা হয় যে, নতুন দোকান তাঁদের দেওয়া হবে। এর পরই রাতে জেসিবি দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় দোকান।

বিজেপি নেতার দাবি, তাঁকে বার বার তৃণমূলে যোগদান করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি দলবদল করতে চান না। তাই তৃণমূল নেতা দাঁড়িয়ে থেকে তাঁর দোকান ভেঙেছেন। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয়নি বলে জানান তিনি।

Advertisement

রাজীব অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, সাদা কাগজের ওপর লেখা হয়েছিল, পরীকে নতুন দোকান দেওয়া হবে। তবে দোকান ভাঙার কথা তিনি অস্বীকার করেছেন। এ নিয়ে বীরভূম জেলার তৃণমূল সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের বিষয়টি জানা নেই। আমাদের কাছে অভিযোগ এলে, নিশ্চয়ই তা খতিয়ে দেখব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন