ধানজমিতে পড়ে দেহ, পরিবারের দাবি খুন

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরাফিলের বাড়ি ইলামবাজারের ধরমপুর পঞ্চায়েতের গোলটে গ্রামে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও কাজে বেরিয়েছিলেন ইসরাফিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৯ ০০:৪৩
Share:

শেখ ইসরাফিল। নিজস্ব চিত্র

রাতভর নিখোঁজ থাকার পরে রাস্তার পাশের ধানজমি থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার করল ইলামবাজার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শেখ ইসরাফিল (৩৩)। বৃহস্পতিবার সকালে মহিষাপুর থেকে গোলটে যাওয়ার রাস্তায় দেহ উদ্ধার হয়। ইসরাফিলের দাদাই শেখ রহমতের অভিযোগ, ‘‘পরিকল্পনা করে ভাইকে অন্যত্র খুন করে ধানজমিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই পুলিশ তদন্ত করে দোষীকে খুঁজে বের করুক।’’ পরিবারের তরফে খুনের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে ইলামবাজার পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরাফিলের বাড়ি ইলামবাজারের ধরমপুর পঞ্চায়েতের গোলটে গ্রামে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালেও কাজে বেরিয়েছিলেন ইসরাফিল। কিছু দিন হল অজয়ের ব্রিজ সংস্কারের কাজ চলছে। সেখানেই কাজ করছিলেন। রাতেও বাড়ি না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। সকালে মহিষাপুর থেকে গোলটে যাওয়ার রাস্তায় ধানজমিতে দেহ পড়ে থাকতে দেখেন গ্রামবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেহের পাশে মোটরবাইকটি পড়ে থাকলেও প্রায় কিলোমিটার দূরে হেলমেট, মানিব্যাগ, টিফিনবক্স এবং কিছু টাকা পড়ে ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে সে সব উদ্ধার করে।

পরিবারের প্রশ্নও সেই জায়গাতে। পরিজনদের দাবি, অন্যত্র খুন করে দেহ মোটরবাইকের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, দেহের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। দেহ ময়না-তদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

অন্য দিকে, বুধবার সকালে বোলপুরে পূর্ণিদেবী চৌধুরী মহিলা মহাবিদ্যালয়ের সামনে একটি নির্মীয়মাণ বহুতলের নিরাপত্তারক্ষী কাবলু কাহারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশ আত্মহত্যা বলে অনুমান করলেও, মৃতের পরিজনেরা তা মানতে নারাজ ছিলেন। বুধবার সকালে কাবলুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহের পা মাটিতে লেগেছিল। জিভ বের হয়নি বলে দাবি করেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement