সঞ্জয়ের হাতে এ বার ‘গাঁজা’

বিশেষ সূত্রে খবর, বুধবার সঞ্জয়কে তার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে তল্লাশি করা হচ্ছিল। সেই সময় দেখা যায়, সে একটি হাতের মুঠো কিছুতেই খুলছে না। তাতে সন্দেহ বাড়ে কারারক্ষীদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০৩:০৯
Share:

প্রতীকী ছবি

বাঁকুড়া জেলে বসে মোবাইলের সাহায্যে খড়্গপুরে তোলা আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল রেলমাফিয়া শ্রীনু নায়ডু খুনে অন্যতম অভিযুক্ত সঞ্জয় প্রসাদের বিরুদ্ধে। এ বার বাঁকুড়ার জেলে সেই সঞ্জয়ের কাছ থেকেই গাঁজা মেলার অভিযোগ উঠল। সংশোধনাগার সূত্রের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় গাঁজা নিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে সঞ্জয়। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার সংশোধনাগারের সুপার বিশ্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “সঞ্জয় কী ভাবে গাঁজা পেল, তা দেখছি। সংশোধনাগারের হেড ওয়ার্ডেন ইন্দ্রজিৎ মণ্ডলকে এ জন্য শো-কজ করা হচ্ছে।” বহু চেষ্টা করেও ইন্দ্রজিৎবাবুর সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা যায়নি।

Advertisement

বিশেষ সূত্রে খবর, বুধবার সঞ্জয়কে তার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে তল্লাশি করা হচ্ছিল। সেই সময় দেখা যায়, সে একটি হাতের মুঠো কিছুতেই খুলছে না। তাতে সন্দেহ বাড়ে কারারক্ষীদের। তখন কারারক্ষীরা মুঠো খোলার জন্য চাপ দেন। মুঠো না খুলে সে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। তবে বেশিক্ষণ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। কারা দফতর সূত্রের দাবি, জোরাজোরিতে সঞ্জয় মুঠি খোলে। দেখা যায়, সে গাঁজা লুকিয়ে রেখেছিল।

খড়্গপুরের ওল্ড সেটলমেন্টের বাসিন্দা সঞ্জয় ২০১৭ সালে শ্রীনু খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়। পুলিশের দাবি, বাঁকুড়ার জেলে সে চুপ করে বসে ছিল না। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে খড়্গপুরে নিজের ভাই অজয় প্রসাদ, সুধীর সাহা-সহ কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তোলাবাজি নিয়ন্ত্রণ করছিল সঞ্জয়। ব্যবসায়ীদের একাংশ তোলাবাজির মৌখিক অভিযোগ জানালেও লিখিত অভিযোগ করতে রাজি ছিলেন না। শেষে এসডিপিও (খড়্গপুর) সুকমল দাস খড়্গপুর টাউন থানায় একটি স্বতঃপ্রণোদিত তোলাবাজির মামলার দায়ের করেন। তার পরেই তদন্তে বাঁকুড়ার জেলে যায় পুলিশ।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন