dubrajpur

সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুর, অভিযোগ

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে,  দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা বনহরি-গুন্ডোবা শাখা কার্যালয়টি প্রতিদিন সকালে খোলা হয়। উৎসবের জন্য  বুধবার সকালে সেটি খোলা হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুবরাজপুর শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১০:০৩
Share:

এ ভাবেই ভাঙচুর করা হয়েছে দুবরাজপুরে সিপিএমের শাখা কার্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র

সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তৎপরতা শুরু হয়েছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলে। এই আবহে দরজার তালা ভেঙে সিপিএমের একটি শাখা কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। দুবরাজপুর থানা এলাকার বনহরি গ্রামের ঘটনা। মঙ্গলবার রাতের কোনও এক সময় ঘটনাটি ঘটলেও বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ বিষয়টি নজরে আসতেই সিপিএম কর্মীরা ভিড় করেন কার্যালয়ে।

Advertisement

বুধবার রাতেই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করে ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছে সিপিএম। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সিপিএমের প্রশ্ন, দুবরাজপুর-বক্রেশ্বর রাস্তার ধারেই রয়েছে ওই দলীয় কার্যালয়টি। সেখানে কেন দুষ্কৃতী হামলা হবে? ঘটনার প্রতিবাদে ও দুষ্কৃতীদের ধরার দাবিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকায় একটি মিছিল করে সিপিএম।

সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা বনহরি-গুন্ডোবা শাখা কার্যালয়টি প্রতিদিন সকালে খোলা হয়। উৎসবের জন্য বুধবার সকালে সেটি খোলা হয়নি। কিন্তু, সন্ধ্যার সময় দলীয় কর্মীরা কার্যালয় খুলতে এসে দেখেন, দরজার তালা ভাঙা। কার্যালয়ের ভিতরে চেয়ার টেবিল ভাঙা, নষ্ট করা হয়েছে নথিপত্র। কার্যালয়ের মধ্যে মদের বোতল পড়ে থাকতে দেখা যায় বলেও সিপিএমের দাবি। তাদের আরও দাবি, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। দল নানা কর্মসূচি নিচ্ছে। বাড়ছে জনসমর্থন। হতে পারে সেই কারণে হামলা।

Advertisement

দুবরাজপুরের সিপিএম নেতা তথা জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শীতল বাউড়ি বলেন, ‘‘যেহেতু হামলা হতে দেখিনি, তাই নির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করছি না। কিন্তু, যে ভাবে মূল রাস্তার গা ঘেঁষে থাকা দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে, হামলাকারীরা নিয়মিত দলীয় কার্যালয় খোলা এবং আমাদের রাজনৈতিক গতিবিধি পছন্দ করছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন