পুরুলিয়া বিএড কলেজ

পাঁচিল তোলা নিয়ে বিরোধ

সীমানা প্রাচীর তৈরি করা নিয়ে পুরুলিয়া বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধ বাধল স্থানীয় বাসিন্দদের। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। এ দিন দুপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ ভবনের পিছনের দিকে পাঁচিল প্রাচীর তুলতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৬ ০০:৫৩
Share:

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র

সীমানা প্রাচীর তৈরি করা নিয়ে পুরুলিয়া বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধ বাধল স্থানীয় বাসিন্দদের। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। এ দিন দুপুরে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ ভবনের পিছনের দিকে পাঁচিল প্রাচীর তুলতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন বলে অভিযোগ। এমনকী দেওয়ালের কিছুটা ভেঙেও দেওয়া হয় বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএড কলেজের ক্যাম্পাসের পিছনের দিকে একটি পুকুর রয়েছে। স্থানীয় কিছু লোকজন কলেজের ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে এই পুকুরে যাতায়াত করেন। দীর্ঘদিন ধরেই এটা চলছে বলে তাঁদের দাবি। তাঁদের বক্তব্য, স্নান করা থেকে কাপড়কাচা বা দৈনন্দিন কাজে এই পুকুরই তাঁদের ভরসা। এ ছাড়া কোনও বিকল্প নেই। তাই ওই পাঁচিল বন্ধ করে দিলে পুকুরে যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে অনেকটা পথ ঘুরে তাঁদের পুকুরে যেতে হবে। তাঁদের দাবি, বিএড কলেজের পাশে মহিলাদের একটি কলেজ রয়েছে। এই দু’টি কলেজের মাঝখান দিয়ে পুকুরে যাতায়াতের রাস্তা করে দেওয়া হবে বলে তাঁদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই রাস্তা আজও করা হয়নি। ফলে বিএড কলেজের ক্যাম্পসের মধ্যে দিয়ে যে রাস্তাটি রয়েছে, তা বন্ধ করে দেওয়া হলে তাঁরা বিপাকে পড়ে যাবেন। সে কারণেই তাঁরা বাধা দিয়েছেন।

এ দিন সীমানা প্রাচীর তোলার সময় স্থানীয় কয়েকজন মহিলা প্রথমে প্রতিবাদ করেন। পরে এলাকার আরও মহিলা ও কিশোর-কিশোরীরা এসে প্রতিবাদে যোগ দেন। তারপর দেওয়াল ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছয়। তাঁদের ঘিরে স্থানীয় লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর মিতা চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘জলের ব্যবস্থা থাকলে কলেজে কেউ ঢুকতেন না। এটা আগে ভাবা দরকার।’’

Advertisement

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শ্যামলকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্থানীয় মানুষজনের যাতায়াতের জন্য বেশ কিছুদিন আগে পাঁচিলের ওই জায়গায় একটি গেট বসানো হয়েছিল। কিন্তু যাতায়াতের জন্য কারা সেই গেটের পাশে পাঁচিল ভেঙে দেয়। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার কথা ভেবে ভাঙা জায়গায় পাঁচিল তোলা হলেও বাসিন্দারা তা ভেঙে দেন। পুরো বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন