Coronavirus

এক দিনেই কমল দশ হাজার, প্রশ্ন  

এ দিকে, হোম কোয়রান্টিনে থাকা অনেকেই সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এরই মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য পরিসংখ্যানের এমন ওঠা-নামা নিয়ে নতুন করে নানা প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২০ ০৪:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি

এক দিন আগেই বলা হয়েছিল, হোম কোয়রান্টিনে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে ১১ হাজার ২৫৭ জনকে। চব্বিশ ঘণ্টা পরেই শোনা গেল, সংখ্যাটা ১ হাজার ১০৮ জন। এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়েছে বাঁকুড়ার স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

এ দিকে, হোম কোয়রান্টিনে থাকা অনেকেই সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এলাকায় ঘোরাফেরা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে। এরই মধ্যে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য পরিসংখ্যানের এমন ওঠা-নামা নিয়ে নতুন করে নানা প্রশ্ন উঠছে। আদৌ হোম কোয়রান্টিন থাকা লোকজনের সঠিক তথ্য রাখা হচ্ছে কি না, তা নিয়েই বিভিন্ন মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। গোলমাল যে হয়েছে, তা আড়ালে মেনে নিচ্ছেন জেলা স্বাস্থ্য কর্তাদের অনেকেই।

শুক্রবারই বাঁকুড়া স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, জেলায় এগারো হাজারের বেশি ব্যক্তিকে হোম কোয়রান্টিন করে রাখা হয়েছে। শনিবার সেই সংখ্যাটাই নেমে আসে এক হাজারে। এক স্বাস্থ্য কর্তার দাবি, ‘‘শুক্রবার তথ্য গোনার কাজে ভুল হয়েছিল। তবে এর পর থেকে যাতে ঠিকঠাক তথ্য তুলে আনা হয়, সে জন্য নিচুতলার সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে।” কিন্তু, এমনটা হল কী করে?

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, হোম কোয়রান্টিন থাকা ব্যক্তিদের তথ্য ব্লক স্বাস্থ্য দফতর থেকেই জেলায় আসে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, স্থানীয় থানা, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও আশাকর্মীদের কাছ থেকে হোম কোয়রান্টিনদের তথ্য ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যায়। তাঁর দাবি, সেখানেই এক জনকে একাধিক বার গণনা করা হয়েছিল। তার জেরেই হোম কোয়রান্টিনের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘এ বার থেকে তথ্য যাচাইয়ের কাজে আশা কর্মীদের আরও ভাল ভাবে লাগাতে বলা হয়েছে। আশা কর্মীরা দিনে দু’বার হোম কোয়রান্টিন থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে জানাবেন। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র অন্য কোনও সূত্রের কাছ থেকে তথ্য পেলে আশা কর্মীদের মাধ্যমে যাচাই করে নিশ্চিত হবেন।”

পড়শি জেলা পুরুলিয়াতেও হোম কোয়রান্টিনদের তথ্য সংগ্রহের কাজে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আশাকর্মীদের। তাঁরা তথ্য সংগ্রহ করে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে ব্লক স্বাস্থ্য দফতরে পাঠাচ্ছেন। সেখানে এই ধরনের সমস্যা এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। বাঁকুড়া স্বাস্থ্য জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, ‘‘কোথাও একটা সমন্বয়ের অভাবেই গোলমাল হয়ে থাকতে পারে। এমন যাতে না হয়, সে দিকে আমাদের নজর থাকছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন