Coronavirus

ট্রেন থেকে যাত্রী নামিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা 

পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম, দুই জেলার প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই যুবক দিন পঁচিশ আগে চেন্নাই গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল, সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ০৮:২৮
Share:

নজরে: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিউড়ি স্টেশনে নামা যাত্রীদের। বুধবার। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সতর্কতায় বুধবার পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের অণ্ডাল স্টেশনে এক যুবককে ট্রেন থেকে নামাল আরপিএফ। বুধবার বীরভূমের সিউড়ি ২ ব্লকের দমদমার বাসিন্দা ওই যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। তবে, শরীরে সংক্রমণের কোনও চিহ্ন না থাকায় সন্ধ্যায় ওই যাত্রীকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম, দুই জেলার প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই যুবক দিন পঁচিশ আগে চেন্নাই গিয়েছিলেন। সেখানে দিন সাতেক থাকার পরে সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। আত্মীয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাড়ি ফেরার জন্য গত সোমবার চেন্নাই থেকে চেন্নাই-গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে চড়েন বলে জানান পেশায় একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ওই যুবক। যুবকের বাবার দাবি, ‘‘এ দিন ছেলে সিউড়িতে নামলে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।’’

কিন্তু তার আগেই বেলা সাড়ে ১০টা নাগাদ আরপিএফ খবর পেয়ে অণ্ডালে ওই যুবককে নামায়। চিফ মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট (আসানসোল ডিভিশন) বিশ্বজিৎ ঘটক বলেন, ‘‘ট্রেন থেকে নামিয়ে ওই যুবককে নিরাপদ জায়গায় আনা হয়। তাঁকে ‘মাস্ক’ পরানো হয়। আমাদের চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। পরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে বিস্তারিত জানিয়ে যুবককে আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।’’

Advertisement

রেল সূত্রে জানা যায়, সকালে যুবক ট্রেনে কাশছিলেন। সহযাত্রীদের তিনি জানান, কয়েক দিন আগে জ্বর হয়েছিল। তবে এখন জ্বর নেই। এর পরে সহযাত্রীরাই আরপিএফ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

তবে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস বলেন, ‘‘ওই যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মেলেনি। তাঁকে সন্ধ্যা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’’ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (পশ্চিম বর্ধমান) দেবাশিস হালদার জানান, নিয়ম মেনে ওই যুবকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।

বীরভূম জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই যুবক যে কামরায় ছিলেন, সেটি এবং আশপাশের কামরার যে ৩৫ জন যাত্রী সিউড়ি স্টেশনে নামেন, তাঁদেরও সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রত্যেককেই প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বর নথিভুক্ত করা হয়েছে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (বীরভূম) হিমাদ্রি আড়ি বলেন, ‘‘ওই ট্রেন যাত্রীদের সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন