প্রতীকী ছবি।
আগের দিন চুপিচুপি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। রবিবার, হাসপাতালে ভর্তির ভয়ে সপরিবারে উধাও হয়ে গেলেন কেরলে কর্মরত যুবক। এর ফলে ফের স্বাস্থ্য দফতরের গাফিলতি সামনে চলে এল। বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়ূরেশ্বরের ঢেকা পঞ্চায়েত এলাকার বছর ছাব্বিশের ওই যুবক কেরলে রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করতেন। স্ত্রী এবং তিন ছেলেমেয়ে বাড়িতে থাকতেন। বাবা-মা এবং ভাইয়েরা পরিবার নিয়ে আলাদা থাকেন।
দিন পাঁচেক আগে ওই যুবক জ্বর এবং কাশির উপসর্গ নিয়ে বাড়ি ফেরেন। শনিবার স্থানীয় ষাটপলশা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করাতে যান। সেখানে ভুয়ো ঠিকানা দেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেই খবর জানাজানি হতে হইচই পড়ে যায়। স্বাস্থ্য দফতর কেন উদ্যোগী হয়ে তাঁকে রামপুরহাটে ভর্তি করালো না, তখনই সেই প্রশ্ন ওঠে। অনেক খোঁজাখুঁজির অন্য একটি গ্রামে তাঁর সন্ধান মেলে।
হোম কোয়রান্টিন-এ রেখে রবিবার তাঁকে রামপুরহাটে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্য দফতরের। কিন্তু, রবিবার সকাল থেকেই তাঁর বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা যায়। স্ত্রী-মেয়েরও দেখা মেলেনি। এ দিন দফায় দফায় পুলিশ, প্রশাসনের লোকেরা বাড়িতে গিয়েও তাঁর দেখা পাননি। তাঁর বাবা এবং ভাইয়েরা বলেছেন, ‘‘আমরাও সকাল থেকেই ওদের বাড়িতে তালা ঝুলছে দেখছি। কোথায় গিয়েছে বলতে পারব না।’’
ওই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয় জনমানসে। গ্রামবাসী প্রশ্ন তুলেছেন, স্বাস্থ্য দফতর কেন ওঁকে শনিবারই ভর্তি করাল না। কেন ওঁর বাড়িতে পাহারা বসানো হল না। এখন যদি ওই যুবক সত্যিই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তা হলে কী হবে? ব্লক স্বাস্থ্য অধিকারিক এনামুল হক জানান, ওই যুবককে বাড়িতে আইসোলেশানে রেখে আজ রামপুরহাটে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সকালে গিয়ে দেখা যায় তাঁর বাড়িতে তালা ঝুলছে। তাঁর খোঁজে নজরদারি চলছে।
এ দিকে, করোনা ভাইরাস নিয়ে এলাকায় নানা গুজব ঘুরছে। সেই সম্পর্কেও শুরুতেই এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বলেও প্রশাসন সূত্রের খবর।