Coronavirus

লকডাউনেও মীমাংসা সভায় তৃণমূল নেতৃত্ব

এলাকার বাসিন্দারা জানান, দশ দিন আগে ওই ওয়ার্ডে জলের কল খারাপ করে দেওয়া নিয়ে ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে ঝগড়া বাধে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২০ ০২:৫৭
Share:

জমায়েত: এ ভাবেই চলে ওই মীমাংসা সভা। নিজস্ব চিত্র

লকডাউন চলাকালীন জমায়েত এড়াতে বলা হচ্ছে বারবার। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতেই যে তা প্রয়োজন তাও বলা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এলাকায় জমায়েত করে মীমাংসা সভা করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতৃত্বর বিরুদ্ধে।

Advertisement

রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। বৃহস্পতিবার সকালে ওই মীমাংসা সভায় উপস্থিত ছিলেন ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর আব্বাস হোসেন, তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতা শুদ্ধধন বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও অনেক তৃণমূল কর্মী। কিন্তু লকডাউনের মধ্যে কী করে এমন জমায়েতের আয়োজন করা হল? কাউন্সিলরের দাবি, ‘‘কোনও জমায়েতই হয়নি।’’

এলাকার বাসিন্দারা জানান, দশ দিন আগে ওই ওয়ার্ডে জলের কল খারাপ করে দেওয়া নিয়ে ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সঙ্গে ঝগড়া বাধে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। ওই ঘটনায় কাউন্সিলরের মদতে মহিলাদের মারধর করারও অভিযোগ ওঠে। রামপুরহাট থানা এবং রামপুরহাট মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যে ঘটনায় পুলিশ এবং প্রশাসন তদন্ত শুরু করেছে সেখানে কাউন্সিলর কী করে মীমাংসা সভা বসাতে পারেন? কাউন্সিলর আব্বাস হোসেনের দাবি, ‘‘কোনও মহিলাকে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে সামান্য মতবিরোধ হয়েছিল। আজকে তাই নিয়ে উভয়পক্ষের উপস্থিতিতে মীমাংসা করে নেওয়া হয়। কোনও সালিশি সভা হয়নি।’’

Advertisement

তৃণমূলের রামপুরহাট ১ ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন বলেন, ‘‘সামান্য ঘটনা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। তা নিয়ে আগে থেকেই উভয়পক্ষ মীমাংসা করে নিয়েছিল। আজকে উভয়পক্ষের ৫ জন করে ১০ জনের উপস্থিতিতে মীমাংসাপত্র লেখা হয়। কোনও সালিশি সভা হয় নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement