cow smuggling scam

বীরভূমে আবার সিবিআই, কেষ্ট-ঘনিষ্ঠদের লেনদেন সংক্রান্ত নথি চেয়ে ৪ ব্যাঙ্কে খোঁজখবর

গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতে সিবিআই বিশেষ ভাবে ভরসা করছে ব্যাঙ্কের আধিকারিক এবং কর্মীদের বয়ানের উপর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০২২ ১৭:২৩
Share:

আবার অনুব্রতের ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির খোঁজে সিবিআই। —ফাইল চিত্র।

গরু পাচার মামলার তদন্তে আবার বোলপুরের একাধিক ব্যাঙ্কে গেলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রের খবর, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি ‘অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ’দের ব্যাঙ্ক লেনদেন সম্পর্কিত তথ্য হাতে পেতে বুধবারের এই ‘অভিযান’ ছিল। সকাল থেকে মোট ৪টি ব্যাঙ্কে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তাঁরা বেশ কিছু ক্ষণ ছিলেন সেখানে।

Advertisement

অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল-সহ তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের বেশ কয়েক বার তলব করেছে সিবিআই। তাঁদের ব্যাঙ্ক লেনদেন সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই দফায় নানুরের তৃণমূল নেতা কেরিম খান, ব্যবসায়ী মলয় পিট, বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’দের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি দেখতে চেয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি বোলপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের দু’জন আধিকারিককেও ডেকে পাঠানো হয়। তাঁরা হাজির হন সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে। সিবিআইয়ের একটি সূত্র বলছে, অনুব্রতের কাছের লোকেদের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়েই এই তলব।

প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতের সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য জানতে সিবিআই বিশেষ ভাবে করছে ব্যাঙ্কের আধিকারিক এবং কর্মীদের বয়ানের উপর। তদন্তকারীদের দাবি, গত ৪ বছরে তৃণমূল নেতা এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ কয়েক জনের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে দ্রুত গতিতে। করোনা পরিস্থিতিতে সর্বত্র যখন আর্থিক প্রভাব পড়েছে, সেখানে বীরভূমের নেতার ব্যবসাপত্রে লেনদেনে কোনও ছেদ পড়তে দেখা যায়নি। বিভিন্ন আর্থিক লেনদেনই নাকি তার প্রমাণ। আয়ের সঙ্গে এই ‘সঙ্গতিহীন’ সম্পত্তিবৃদ্ধি এবং ব্যাঙ্কে জমানো বিপুল টাকার মূল উৎস গরু পাচারের অর্থ কি না, তার খোঁজে নেমে সিবিআই বার বার তলব করছেন বোলপুরের সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্কের বাছা বাছা কয়েক জন আধিকারিকের সাক্ষ্য। বস্তুত, অনুব্রতের বিরুদ্ধে চার্জশিটে যে ৯৫ জন সাক্ষীর কথা জানানো হয়েছে, তার একটি বড় অংশই হল ব্যাঙ্কের কর্মী-আধিকারিকরা। অন্য দিকে, গরু পাচার সংক্রান্ত মামলাতেই অনুব্রতের প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেনকে সিবিআইয়ের কাছ থেকে তাদের হেফাজতে নিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন