সভা ডেকে বাতিল

এ বিষয়ে অবশ্য বিশদে মন্তব্য করতে চাননি দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০০:০২
Share:

সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে পুরুলিয়ার যুবকেরা বঞ্চিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করে আগেই বির্তক তৈরি করেছিলেন পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক নবেন্দু মাহালি। এ বার জেলা সভাপতির বদলে নিজেই কর্মীদের সমস্যার কথা জানতে আলাদা ভাবে সভা ডেকে ফের বির্তকে জড়িয়ে পড়েন তিনি। আজ, রবিবার পুরুলিয়া শহরের একটি হোটেলে ওই সভা ডেকেছিলেন নবেন্দু। শেষ মুহূর্তে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সেই সভা বাতিল করলেন তিনি।

Advertisement

এ বিষয়ে অবশ্য বিশদে মন্তব্য করতে চাননি দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো। তাঁর সংক্ষিপ্ত মন্তব্য, ‘‘নবেন্দুর সঙ্গে কথা বয়েছে। তিনি যে সভা ডেকেছিলেন, তা বাতিল করেছেন।”

লোকসভা ভোটে পুরুলিয়ায় রাজ্যের শাসকদলের বিপর্যয়ের পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে জোড়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ করেছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন মন্ত্রী মলয় ঘটক বেশ ঘন ঘন জেলায় এসে জেলা শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করছেন। সম্প্রতি ঘুরে গিয়েছেন আর এক পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু দলের একাংশের দাবি, পর্যবেক্ষকদের কাছে নিচুতলার নেতা ও কর্মীরা সংগঠনের সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলার সুযোগ পাচ্ছেন না। এ নিয়ে দলের একাংশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছে, বিজেপি কেমন দল, তা তাঁরা জানেন। তাই শীর্ষ নেতাদের মুখে ওই কথার মধ্যে নতুন তথ্য নেই। কিন্তু জেলার যে নেতাদের জন্য ভরাডুবি, তাঁদের নিয়ে আমজনতার যে ক্ষোভ, সেই কথাগুলো নেতৃত্ব এ বার মন দিয়ে শুনুন। না হলে ওই কয়েকজন নেতার ভুলের খেসারত আগামী ভোটেও দলকে দিতে হবে।

Advertisement

একটি সূত্রের খবর, সেই সব কথা শোনার জন্যই সভা ডেকেছিলেন নবেন্দু। সম্প্রতি দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তৈরি করা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ওই সভার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। লিখেছিলেন— ‘পুরুলিয়া জেলার বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সাংগঠনিক অবস্থান বিষয়ে আলোচনা সভা’। আহ্বায়ক হিসাবে নিজের নাম দিয়েছিলেন।

শনিবার নবেন্দু বলেন, ‘‘যাঁরা দলের কোনও পদাধিকারী নন, কিন্তু আদতে সংগঠনের কাজটা দীর্ঘদিন ধরেই করে যাচ্ছেন, তাঁদের হাত দিয়েই সংগঠনের বিস্তার হয়েছে জেলায়, সেই তৃণমূল স্তরের নেতা-কর্মীদের নিয়েই দলের বর্তমান অবস্থায় কী করণীয় তা নিয়ে আলোচনা করতেই সভা ডেকেছিলাম।”

তা হলে বাতিল করলেন কেন? নবেন্দুর দাবি, তাঁর সভা ডাকার খবর কোনও ভাবে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পৌঁছেছিল। এক শীর্ষ নেতা জেলা সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে সভা বাতিল করতে বলেন। ওই নেতা জানিয়েছেন, তিনি শীঘ্রই জেলায় এসে দলের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। নবেন্দু বলেন, ‘‘এ দিনই শান্তিরামবাবু ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, যাঁরা দলের সংগঠনের কাজকর্ম দেখভাল করেন, তাঁদের নিয়ে সভা করে সাংগঠনিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তাই সভা

বাতিল করেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন