Deer Park

হরিণ-মৃত্যু নিয়ে রিপোর্ট ৭ দিনে

বৃহস্পতিবার রানিবাঁধের মুকুটমণিপুর জলাধার সংলগ্ন বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের বাইরে তিনটি হরিণের ক্ষতবিক্ষত দেখ মেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গঙ্গাজলঘাটি শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০১:৩৩
Share:

নিঃসাড়: মুকুটমণিপুরের কাছে বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কে। নিজস্ব চিত্র

বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কে হরিণ মৃত্যুর তদন্তে কমিটি গড়ল রাজ্য বন দফতর। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রাথমিক রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার গঙ্গাজলঘাটিতে ‘বনবান্ধব’ অনুষ্ঠানের সূচনায় এসে এ কথা জানালেন রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি হাতিদের নিয়ন্ত্রণ করতে বন দফতরের রক্ষী বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

Advertisement

এ দিন গঙ্গাজলঘাটির অমরকানন দেশবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়ে বনবান্ধব উৎসব আয়োজিত হয়। বনমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা, বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, সহকারী সভাধিপতি শুভাশিস বটব্যাল এবং রাজ্য ও জেলা বন দফতরের কর্তারা।

বৃহস্পতিবার রানিবাঁধের মুকুটমণিপুর জলাধার সংলগ্ন বনপুকুরিয়া ডিয়ার পার্কের বাইরে তিনটি হরিণের ক্ষতবিক্ষত দেখ মেলে। ডিয়ারপার্ক তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। কী ভাবে ওই হরিণগুলি বেড়ার বাইরে এসেছিল, প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে। প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয় বন দফতরের ভূমিকাও। রাজীববাবু বলেন, “হরিণ মৃত্যুর ঘটনাটি শুনেই আমি তদন্ত কমিটি করতে বলি। রাজ্যের ‘হেড অব ফরেস্ট ফোর্সে’র নেতৃত্বে তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কোথাও কারও গাফিলতি ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হরিণগুলির মৃত্যুর কারণও আমরা নির্ণয় করার চেষ্টা করছি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।”

Advertisement

এ দিকে চলতি বছরের শুরু থেকেই জেলায় হাতির হানায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু জানুয়ারিতেই প্রাণ গিয়েছে পাঁচ জনের। যার মধ্যে বিষ্ণুপুর, গঙ্গাজলঘাটি ও বেলিয়াতোড় রেঞ্জে একটি করে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রানিবাঁধ রেঞ্জ এলাকায় দু’জনের মৃত্যু হয়। জেলার জঙ্গলে থাকা রেসিডেন্ট হাতিগুলি ময়ূরঝর্নায় ফেরানোর দাবি তুলে বৃহস্পতিবারই বাঁকুড়ার উত্তর বন বিভাগের ডিএফও দফতরে স্মারকলিপি দিয়েছে হাতি সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষে গঠিল সংগ্রামী গণমঞ্চ।

হাতি তাড়ানোর ক্ষেত্রে বন দফতরের পরিকাঠামোগত সমস্যার কথা মেনে নিয়েছেন বনমন্ত্রী। তবে তিনি জানান, পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ও বানানো হচ্ছে। রাজীববাবু বলেন, “ অন্য রাজ্য থেকে হাতি আসছে। তাদের তাড়ানোর জন্য আমাদের রক্ষী সংখ্যা কম। রক্ষী বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।” তাঁর সংযোজন, ‘‘বিভিন্ন রাষ্ট্র এবং অসম-সহ কয়েকটি রাজ্যের মতামত নিয়ে আগামী দিনে একটি ‘মাস্টার প্ল্যান’ তৈরি করতে চলেছি।” পাশাপাশি মানুষকেও সচেতন করতে উদ্যোগী বন দফতর। মন্ত্রী বলেন, “অনেক সময় অসতর্কতা বা ভুলের জন্য হাতির সঙ্গে মানুষের সংঘাত হয়। এটা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন