রোগীদের ভাজা মাছে মিলল ছত্রাক! 

রোগীদের জন্য রাখা ভাজা মাছে ছত্রাক দেখতে পেলেন হাসপাতাল সুপার। তার পরেই রোগীদের খাবার পরিবেশনকারী ঠিকাদারকে শোকজ করলেন। রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের সোমবারের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:২২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

রোগীদের জন্য রাখা ভাজা মাছে ছত্রাক দেখতে পেলেন হাসপাতাল সুপার। তার পরেই রোগীদের খাবার পরিবেশনকারী ঠিকাদারকে শোকজ করলেন। রামপুরহাট জেলা হাসপাতালের সোমবারের ঘটনা।

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রের খবর সুপার শর্মিলা মৌলিক রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ হাসপাতালের রান্নাঘরে আচমকা পরিদর্শনে যান। তখন রোগীদের খাবার কিচেন থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নজরে আসে রোগীদের নিয়ম বর্হিভূত ভাবে সেদ্ধ ডিম দেওয়া হচ্ছে। সুপারের কথায়, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী রোগীদের ডায়েট চার্টে রাতের খাবারে ডিমের সঙ্গে ১০০ গ্রাম ঝোল দেওয়ার কথা। তা হচ্ছে না দেখে ফ্রিজে কী আছে দেখাতে বলি। অবাক হয়ে দেখি ডিপ ফ্রিজে রাখা কয়েকটা ভাজা মাছে ছত্রাক জমে আছে।’’

এর পরেই রান্নাঘরের ঠিকাদারকে ডেকে পাঠানো হয়। ওয়ার্ড মাস্টার অফিস, চিকিৎসক, হাসপাতাল কর্মীদের সামনে ঠিকাদারকে ডেকে ছত্রাক ধরা মাছ দেখানো হয়। সুপারের কথায়, ‘‘রোগীদের খাবারে ছত্রাক ধরা ভাজা মাছ পরিবেশন করা হবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণে ঠিকাদারের থেকে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, জেলা হাসপাতালে দিনে-রাতে গড়ে পাঁচশোর বেশি রোগীর খাবার পরিবেশন করা হয়।

Advertisement

এমন অভিযোগ উঠেছে জেনে হতবাক রোগীরাও।

ক্ষুব্ধ পরিজনেরা। কেন এমন হল? ঠিকাদার রামকৃষ্ণ সাহা বলছেন, ‘‘ডিপ ফ্রিজে রাখা মাছে বরফ পড়েছিল। ছত্রাক পড়ার সম্ভাবনা কম। তবুও যদি কোনও ভাজা মাছে ছত্রাক ধরে থাকে তা হলে অজান্তে ভুল হয়ে গিয়েছে।’’

জটিলতা তৈরি হয়েছে দরপত্র নিয়েও। সুপার নিজেই মানছেন, ‘‘বর্তমান ঠিকাদার ২০১১ সালের দরপত্রে রান্না পরিবেশন করছেন। অথচ স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ অনুসারে ২০১৪ সালের দরপত্র অনুযায়ী খাবার পরিবেশন করা উচিত। এক্ষেত্রে কী জটিলতা হয়ে আছে সেটাও পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।’’ এ বিষয়ে ঠিকাদার জানান, পুরাতন টেন্ডার ২০১১ সালে শেষ হয়ে গিয়েছে। নতুন করে টেন্ডার আর বের হয়নি। তা হলে কোন হিসেবে রোগীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে? তার জবাব মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন