বক্তা: দুর্লভপুরের সভায় সুজন চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র
একের পর এক কল-কারখানা বন্ধ হচ্ছে, আর জেলা জুড়ে কয়লা, বালি, পাথরের অবৈধ খাদান চলছে রমরমিয়ে। শনিবার গঙ্গাজলঘাটির দুর্লভপুরে সিটুর বাঁকুড়া জেলা সম্মেলনের সমাবেশে এ ভাবেই রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। সুজনবাবু বলেন, “তৃণমূল আমলে নতুন শিল্প তো হলই না। বরং বাম আমলে যে শিল্পগুলি হয়েছিল, সেগুলি একের পর এক বন্ধ হচ্ছে। পাথর, বালি, কয়লা, টাকার খাদান চলছে।’’ এরপরেই তাঁর সংযোজন, “যা পরিস্থিতি তাতে শত্রুর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বলা ছাড়া আর বিকল্প রাস্তা নেই।”
লটিয়াবনি হাইস্কুলে এ দিন থেকে সিটুর দু’দিনের জেলা সম্মেলন শুরু হল। সুজনবাবু ছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটুর সর্বভারতীয় সম্পাদক সাংসদ তপন সেন। সমাবেশে বেশ কয়েক হাজার লোক এসেছিল বলে দাবি নেতৃত্বের। সিটুর জেলা সহ- সভাপতি প্রতীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “শুধুমাত্র গঙ্গাজলঘাটি, মেজিয়া ও বড়জোড়া ব্লকের মানুষই সভায় এসেছিলেন।”
নিজের বক্তব্যে এ দিন সুজনবাবু যখনই শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন সভায় আসা লোকজনের মধ্যেও উল্লাস দেখে গিয়েছে। সুজনবাবু বলেন, “শুধু নারদ বা সারদা কাণ্ডে জড়িত তৃণমূল নেতা- মন্ত্রীরাই নন, জেলে ঢুকতে হবে দুর্নীতিগ্রস্ত সব তৃণমূল নেতাকেই। উপার্জন ছাড়াই কী ভাবে তাঁরা সম্পত্তি বাড়ালেন, তার জবাব দিতে হবে তাঁদের।”
বালি খাদান দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে বোমাবাজিতে সম্প্রতি লাভপুরে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে। সুজনবাবুর দাবি, “সরকারি হিসেব মিথ্যা। বাস্তবে আরও অনেক বেশি মানুষ লাভপুরে মারা গিয়েছেন বলেই আমরা এলাকায় গিয়ে জানতে পেরেছি।” রাজ্যে তৃণমূলের ভিত ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে বলেও এ দিন সমাবেশে দাবি করেছেন তিনি। যদিও তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী দাবি করেন, “রাজনীতিতেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে সিপিএম। কী বললেন তা নিয়ে কারও মাথা ব্যথা নেই।”