শুভেন্দু অধিকারী।—ফাইল চিত্র।
যাত্রী পরিষেবা উন্নত করতে এই অর্থবর্ষে সাড়ে তিনশো নতুন বাস নামতে চলেছে। তার মধ্যে গ্রিন বাস, এসি বাস থেকে ভলভো, ডিলাক্স, ইলেকট্রিক বাসও রয়েছে। এককথায় স্মার্ট হচ্ছে পরিবহণ ব্যবস্থা।
শুক্রবার বিকেলে সিউড়ির হাটজন বাজারে দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার ১৪ তম ডিপোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই এ তথ্য জানান। পরিবহণ মন্ত্রীর দাবি, যাত্রী সুরক্ষা ও পথ নিরাপত্তার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের রোড সেফটি বা পথ নিরাপত্তার নির্দেশিকা মেনেই প্যানেল বটন, জিপিএস সিস্টেম ও রেজিস্ট্রেশন-সহ সমস্থ রকমের সুবিধাযুক্ত বাস নামানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সিউড়ির হাটজন বাজারের একটি সরকারি বাসের ডিপো ছিল উত্তরবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার হাতে। মাস কয়েক আগে পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সিউড়ি আসার পরই ডিপোটিকে দু’ভাগে ভাগ করে একটি অংশ দক্ষিণবঙ্গ পরিবহণ সংস্থার জন্য বরাদ্দ করেন। সেই ডিপো উদ্বোধন করেই সিউড়ি আসেন পরিবহণ মন্ত্রী। ওই ডিপো থেকে তিনটি রুটের ঘোষণা করেন। সিউড়ি-কলকাতা, সিউড়ি –মালদা (ভায়া মুরারই, এবং সিউড়ি লালগোলা। অনুষ্ঠানে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমার, সভাধিপতি বিকাশরায় চৌধুরী, এসআরডিএর চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে এই সরকারের সঙ্গে বাম জামানার তুলনা টানেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বাম আমলে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি থেকে ১৩২ টাকা দিয়ে ঋণ বাস নামানো হত। এখন পরিকল্পনা খাতের টাকা থেকে নতুন নতুন বাস নামচ্ছি। সরকারে ৬ বছর এক মাসের কার্যকালে ৭০০টি নতুন রুটের বাস দেওয়া সত্বেও ভর্তুকির পরিমাণ ২০১১ সালের থেকে বাড়েনি।’’ আয় বেড়েছে বলেও তাঁর দাবি। আগে একটি বাস পিছু কর্মী ছিলেন ১১ জন। সেখানে একটি বাসে কর্মী সংখ্যা বর্তমানে ৪.২ জন। তবে পরিবহণ ছাড়া অন্য কোনও প্রসঙ্গ নিয়ে মুখ খোলেননি শুভেন্দু।