ভোজনে ব্যস্ত পুরুলিয়া মিনি জু-র বাসিন্দারা।—নিজস্ব চিত্র
নির্বাচন চলাকালীন ‘গুড়-জল’ নিয়ে বিস্তর চাপানউতোর হয়েছে। তাতে ওদের কারও হেলদোল নেই। গরমের মরসুমে সুস্থ রাখতে চিকিৎসকেরা ওদের রোজ গুড় আর জল খাওয়ানোর নিদান দিয়েছেন। সুরুলিয়া বন্যপ্রাণী পুনর্বাসন কেন্দ্রের হরিণেরা রোজ তা-ই খাচ্ছে।
পুরুলিয়া শহরের উপকন্ঠে সুরুলিয়ায় বন্যপ্রাণী পুনবার্সন কেন্দ্রটি রয়েছে। সেখানকার আবাসিক ভালুক, হনুমান, হরিণ, লালমুখো বাঁদর, সজারু, সারস, পেঁচা, ময়ূর-সহ অনেক প্রাণী। কেন্দ্রের চিকিৎসক তাপস বিশ্বাস জানান, গরমে গ্লুকোজের কাজ করে গুড়-জল। তাই আপাতত এই কেন্দ্রের আবাসিকদের জন্য গুড়-জলের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। বনদফতরের কর্মীরা জানান, তাপপ্রবাহের সময় পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাসিন্দাদের সুস্থ রাখতে হিমশিম খেয়েছেন তাঁরা। অতিরিক্ত গরমে তাদের বেশি করে জল দেওয়ার পাশাপাশি রোজকার খাবারের তালিকাতেও বদল আনা হয়েছে।
এই মরসুমে পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্রাণীদের কারও জন্য লাউ, কারও জন্য শসা, কারও জন্য তরমুজ বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি একটু বৃষ্টি-বাদলা হয়ে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। কিন্তু পুরপুরি বর্ষা না আসা ইস্তক ডায়েটে বদল আনার কথা ভাবছে না পুনর্বাসন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এই কেন্দ্রের কর্মী নেপাল বাউরি বলেন, ‘‘হরিণদের ছোলা, লাউ আর শসা খাওয়ানো হচ্ছে। ভালুকদের জন্য গরমে স্পেশ্যাল ডায়েট তরমুজ। সঙ্গে রুটি আর দুধ।’’ বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভালুকদের খাওয়ার তালিকা থেকে মধু এখন একদম বাদ।
গাছগাছালিতে ঘেরা পুনর্বাসন কেন্দ্রটিতে বিভিন্ন প্রাণীদের থাকার জন্য আলাদা আলাদা বন্দোবস্ত রয়েছে। কেন্দ্রের কর্মী গণেশ পরামাণিক, যুধিষ্ঠির রাজোয়াড়রা জানান, কিছু ক্ষেত্রে সেই জায়গাগুলিতে চালার উপরে আরও একটি বাড়তি চালা করে দেওয়া হয়েছে। রোদের তাপ বাঁচিয়ে আপাতত কোঠাবাড়ির মত বাসায় জিরোচ্ছে গরমে নাজেহাল আবাসিকরা।