চা বাগানে পানীয় জলের সমস্যা দীর্ঘ দিনের। অভিযোগ, অনেক বাগানেই লৌহমিশ্রিত লাল জল মেলে। একই সঙ্গে শ্রমিক আবাসে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও বেশির ভাগ দিনই বিদ্যুৎ মেলে না, এমন অভিযোগও প্রবল। স্বাস্থ্য পরিষেবার হালও অত্যন্ত খারাপ। তরাই ডুয়ার্সের চা বাগানগুলির এমন নানা সমস্যা সমাধানের পথ যাতে দ্রুত এবং সহজ হয় তা লোক আদালতের মাধ্যমে মেটানোর নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। চা বাগানে ন্যূনতম শ্রমিক পরিষেবাও অমিল বলে একটি মামলা শুক্রবার মঞ্জুলা চেল্লুর-সহ দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে। মামলাটি করেন পশ্চিমবঙ্গ খেত মজুর সমিতির রাজ্য কমিটির নেত্রী অনুরাধা তলোয়ার। এর আগে তরাই ডুয়ার্সের চা শ্রমিকদের বকেয়া পিএফ, গ্র্যাচুইটির টাকা যাতে দ্রুত মেটানো যায় মূলত সেই লক্ষ্যে চা বাগান লোক আদালতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি চেল্লুর। কিন্তু সরাসরি পানীয় জল, বিদ্যুতের মতো জীবনধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সমস্যা মেটাতেও বাগানে লোক আদালতের মাধ্যমে নির্দেশ কার্যত বেনজির।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সদস্য সচিব অভিজিত সোম এ দিন বলেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই গঙ্গারাম বাগানে সফল ভাবে লোক আদালত সম্পন্ন করেছি। জল, বিদ্যুতের মতো নিত্যনৈমত্তিক সমস্যা মেটাতেও এই আদালত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাই নেবে।’’ দার্জিলিং জেলা লিগাল এইড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার গত অক্টোবরে ডানকানের ১৫টি বাগানের দুরবস্থার বিস্তারিত তথ্য দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। অমিতবাবু বলেন, ‘‘লোক আদালত বাগানে যেমন দ্রুত সমস্যার সমাধান করবে, তেমনই অন্য দিকে শ্রমিকেরাও চোখের সামনে সমস্যা মিটতে দেখে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবেন।’’