হিড়বাঁধ

আস্থা ভোটে হার, দলের দ্বন্দ্বে তবু প্রধান পদেই

দিন পনেরো আগে দলেরই সদস্যদের আনা অনাস্থায় হেরে প্রধান পদ খুইয়েছিলেন। ফের পদই ফিরে পেলেন রানিবাঁধ ব্লকের রুদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের শিখারানী মণ্ডল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিবাঁধ শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০১৬ ০১:৪৬
Share:

দিন পনেরো আগে দলেরই সদস্যদের আনা অনাস্থায় হেরে প্রধান পদ খুইয়েছিলেন। ফের পদই ফিরে পেলেন রানিবাঁধ ব্লকের রুদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের শিখারানী মণ্ডল। মঙ্গলবার রুদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নতুন প্রধান নির্বাচনের জন্য সভা ডাকা হয়। সভায় চার জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই শিখারানীদেবীকে ফের প্রধান নির্বাচিত করেন।

Advertisement

ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, জুন মাসে রুদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অঞ্চলা মাণ্ডি-সহ আট সদস্য বিডিও-র কাছে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েতের মোট সদস্য সংখ্যা ১০। সকলেই তৃণমূলের। অনাস্থাকারীদের অভিযোগ ছিল, পঞ্চায়েত প্রধান স্বেচ্ছাচারী। গত ২৮ জুন প্রধানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তলবি সভা হয়। ১০ সদস্যের মধ্যে সাত জন প্রধানের বিরুদ্ধে ভোট দেন।

নিয়ম হল, এক মাসের মধ্যে প্রধান নির্বাচন করতে হবে। মঙ্গলবার ছিল সেই দিন। এ দিন প্রধান নির্বাচনের সভায় তৃণমূলের শিখারানী মণ্ডল, অপর্ণা মাণ্ডি, সুধারানী মাহাতো, ক্ষুদিরাম হেমব্রম-সহ চার জন উপস্থিত ছিলেন। আসেননি উপপ্রধান অঞ্চলা মান্ডি-সহ ছয় জন। সেখানে শিখারানীদেবীকেই ফের প্রধান নির্বাচন করা হয়। রানিবাঁধের বিডিও সুমন্ত দেবনাথের সঙ্গে এ দিন বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। ব্লকের এক আধিকারিক বলেন, “রুদড়া পঞ্চায়েতের ১০ জন সদস্যের মধ্যে চার জন উপস্থিত ছিলেন। আইন অনুযায়ী সভায় এক-তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত থাকায় নতুন প্রধান নির্বাচন হয়েছেন।’’

Advertisement

সদ্য নির্বাচিত প্রধান শিখারানি মণ্ডলের কথায়, ‘‘আমি যে অন্যায় কিছু করিনি এ দিন তা প্রমাণ হল।’’ তাঁর দাবি, দলেরই কিছু সদস্যকে ভুল বুঝিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছিল। এ দিন বহু চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি উপপ্রধান অঞ্চলা মাণ্ডির সঙ্গে।

বন্ধ মিনিবাস। এক মিনিবাস চালককে মারধরের অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে কয়েক ঘণ্টা ধরে দুর্গাপুরের ৮বি রুটে বাস বন্ধ করে দিলেন চালকেরা। চালকদের অভিযোগ, দুপুরে ব্যাঙ্ক কলোনি এলাকায় কয়েক জন স্থানীয় যুবক এক মিনিবাস চালককে মারধর করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে প্রহৃত হন বাসের অন্য কর্মীরাও। এরপরেই নিরাপত্তার দাবিতে বাস বন্ধ করে দেন চালকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন