আটক স্ত্রী

বাড়ির ভিতর থেকে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে মুরারই থানার সোহাড়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আনসার শেখ (৩০)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মুরারই শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২২
Share:

বাড়ির ভিতর থেকে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে মুরারই থানার সোহাড়া গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আনসার শেখ (৩০)। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ওই যুবককে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, এমন দাবিতে গ্রামে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। মৃতের স্ত্রীকে গ্রামবাসীর একাংশ আটকে রাখেন। পুলিশ তাঁকে আটক করলেও প্রাথমকি তদন্তে পুলিশের অনুমান, পরিবারিক অশান্তির জেরে ওই যুবক আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। শরীরের আঘাতের তেমন চিহ্নও মেলেনি। তবে, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর ঠিক কারণ বলা যাবে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। আপাতত অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের খবর, অল্প বয়সে মা-বাবাকে হারিয়ে আনসার মামার বাড়ি সোহাড়াতে বড় হয়েছেন। পেশায় পাথর শিল্পাঞ্চলের কর্মী আনসার মামাদের দেওয়া একটি জায়গায় ছোট টিনের চালাঘরে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। গ্রামবাসীর একাংশের দাবি, আনসারের স্ত্রী পড়শি এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই যুবক ভিন‌ রাজ্যে কাজ করেন। তিন দিন আগেই তিনি মুম্বই থেকে বাড়ি ফিরেছেন। ওই যুবক বুধবার রাত থেকেই গ্রামছাড়া বলে বাসিন্দাদের দাবি। তাতেই তাঁদের সন্দেহ বেড়েছে। আনসারের তুতো ভাই সমীর শেখের দাবি, বুধবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ খবর পেয়ে তিনি পৌঁছে দেখেন, আনসার বিছানায় মৃত অবস্থায় শুয়ে আছে। তাঁর স্ত্রী বাইরে কান্নাকাটি করছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে মৃতের বড় ছেলে সাত বছরের মেহেদি দাবি করেছে, ‘‘রাতে বাবার সঙ্গে কাকার (পড়শি ওই যুবক) ঝগড়া হয়। পরে কাকা বাবার মুখে গামছা চেপে ধরে মেরেছে।”

Advertisement

কেপমারিতে ধৃত। কেপমারির অভিযোগে বর্ধমানের চিনাকুড়ি এলাকা থেকে এক জনকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জিত নুনিয়া। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ১৮ জুলাই আসানসোলের আপকার গার্ডেন এলাকা থেকে এক ব্যাক্তির কেপমার হয়। পুলিশের দাবি, ধৃত ব্যক্তি ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার ধৃতের দু’দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন