সাংসদ তহবিল থেকে হল্ট স্টেশন

ঘটনা হল, কাটজুড়িডাঙা এলাকায় রেলের হল্ট স্টেশন হলে ওই এলাকা-সহ আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। তাই সেখানে হল্ট স্টেশন গড়ার দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই তুলে আসছেন মানুষজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৯ ০১:১৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

কাটজুড়িডাঙায় রেলের হল্ট স্টেশন গড়তে অর্থ বরাদ্দ করতে এগিয়ে এলেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। রেলের তরফে শীঘ্রই তাঁকে ওই হল্ট স্টেশন গড়ার খরচ জানানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি সাংসদের। বুধবার বাঁকুড়ার জেল রোড এলাকায় নিজস্ব সাংসদ অফিসের উদ্বোধন করেন সুভাষবাবু। সেখানেই তিনি জানান, গত জুনে রেলের কর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে কাটজুড়িডাঙা এলাকায় হল্ট স্টেশন গড়ার বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করেন। সেখানেই মৌখিক ভাবে ওই হল্ট স্টেশন গড়ার জন্য সাংসদ তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, “সেপ্টেম্বরে লিখিত ভাবে বিষয়টি দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চিফ কমার্সিয়াল ম্যানেজারকে জানাই। সেখান থেকে চিঠি দিয়ে আমাকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই ওই হল্ট স্টেশন গড়ার খরচের হিসেব তৈরি করা হবে।” ডিআরএম (আদ্রা) নবীন কুমার বলেন, “কাটজুড়িডাঙায় হল্ট স্টেশন গড়ার জন্য রেল বোর্ডের কাছে অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। অনুমতি মিললেই খরচের হিসেব কষা হবে।”

Advertisement

ঘটনা হল, কাটজুড়িডাঙা এলাকায় রেলের হল্ট স্টেশন হলে ওই এলাকা-সহ আশপাশের বহু গ্রামের মানুষ উপকৃত হবেন। তাই সেখানে হল্ট স্টেশন গড়ার দাবি দীর্ঘ দিন ধরেই তুলে আসছেন মানুষজন। গত কয়েক বছরে এই দাবি নিয়ে একাধিক বার রেলের বিভিন্ন দফতর ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে ছুটে গিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কাটজুড়িডাঙা প্রস্তাবিত হল্ট স্টেশন কমিটির সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় পাল, হিসেবরক্ষক শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়রা বলেন, “এখানে হল্ট স্টেশন গড়া হলে কাটজুড়িডাঙা-সহ শহর লাগোয়া বহু গ্রামের মানুষই উপকৃত হবেন। সুভাষবাবু বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হওয়ায় সমস্যা মিটবে বলেই আমরা আশাবাদী।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন