সাহায্য চেয়েও মিলল না ট্রেনে 

উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জ জেলার জুনেদপুরের বাসিন্দা রামেশ্বর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও বছর তিনেকের ছেলেকে নিয়ে কানপুর থেকে ওই ট্রেনে উঠেছিলেন। যাচ্ছিলেন ওড়িশার ভদ্রকের পাঁচপুরায়, শ্বশুরবাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৮ ০৭:১০
Share:

আত্মীয়ার কোলে। নিজস্ব চিত্র

ট্রেনের কামরায় প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীর জন্য সহযাত্রীদের কাছ থেকে কোনও সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ তুললেন নয়াদিল্লি-পুরী পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসের এক যাত্রী। সোমবার সন্ধ্যার ঘটনা। ওই ট্রেনের কামরায় সন্তান প্রসব করেন উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জ জেলার জুনেদপুরের বাসিন্দা গীতা দেবী। তাঁর স্বামী রামেশ্বরের অভিযোগ, সহযাত্রীদের কাছে সাহায্যের আবেদন করলেও কেউ এগিয়ে আসেননি।

Advertisement

রেলপুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় ওই ট্রেনটি পুরুলিয়া স্টেশনে ঢুকতেই প্ল্যাটফর্মে থাকা রেলপুলিশ ও রেলসুরক্ষা বাহিনীর কর্মীদের কাছে রামেশ্বর সহায়তা চান। মহিলা নিরাপত্তা কর্মীরা কামরায় গিয়ে প্রসূতিকে নামিয়ে আনেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে গীতাকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

উত্তরপ্রদেশের আলিগঞ্জ জেলার জুনেদপুরের বাসিন্দা রামেশ্বর সন্তানসম্ভবা স্ত্রী ও বছর তিনেকের ছেলেকে নিয়ে কানপুর থেকে ওই ট্রেনে উঠেছিলেন। যাচ্ছিলেন ওড়িশার ভদ্রকের পাঁচপুরায়, শ্বশুরবাড়িতে। রামেশ্বর বলেন, ‘‘ও ছটফট করছিল। আমি বার বার অন্য যাত্রীদের কাছে সাহায্য চাই। কেউ সাড়া দেননি। স্টেশনে ঢোকার আগে কামরাতেই সন্তানের জন্ম হয়।’’

Advertisement

মঙ্গলবার রামেশ্বর বলেন, ‘‘পুরুলিয়া স্টেশনে নিরাপত্তা কর্মী ও রেলের লোকজন খুবই সাহায্য করেছেন। এখন আমার স্ত্রী ও সন্তান ভাল আছে।’’ সম্প্রতি দুরপাল্লার ট্রেনে সহযাত্রীর প্রসবের সময়ে পাশে থেকে বাহবা কুড়িয়েছিলেন পুরুলিয়ার শ্রাবনী পাণ্ডে। এ দিনের ঘটনার কথা শুনে তিনি বলেন, ‘‘খারাপ লাগছে। ওই দিনও দেখেছি অনেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন। এগিয়ে আসছিলেন না। অন্য যাত্রীদেরও এই রকমের পরিস্থিতিতে কর্তব্য থাকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন