birbhum

আংশিক লকডাউনে প্রয়োজনে বলপ্রয়োগ, জানাচ্ছে প্রশাসন

শুক্রবার থেকে টানা আট দিন জেলার ছটি পুরশহরে সময়ভিত্তিক বা আংশিক লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা  

সিউড়ি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২০ ০০:২৭
Share:

n টহল: দোকান খোলা দেখে বন্ধ করালেন মহকুমাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল। বৃহস্পতিবার রামপুরহাটে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম

বিকেল তিনটে থেকে রাত ১০টা। আজ, শুক্রবার থেকে টানা আট দিন জেলার ছটি পুরশহরে সময়ভিত্তিক বা আংশিক লকডাউন কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। নোটিফিকেশনও হয়েছে। এই সময়কালে বিধিভঙ্গ হলে ‘বলপ্রয়োগ’ করার আগে ভাবা হবে না, সেটাও স্পষ্ট জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তারা। প্রতিটি শহরে ঢোকা ও বেরনোর রাস্তায় পুলিশ পাহারা থাকবে। চলবে শহরের মধ্যে কঠোর নজরদারিও।
কোভিড সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকার সপ্তাহে দু’দিন রাজ্য জুড়ে সার্বিক লকডাউন ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার ছিল তার প্রথম দিন। সেই ধারা আংশিক লকডাউনেও বজায় রাখতে মরিয়া জেলা প্রশাসন। কারণ, বীরভূমেও সংক্রমণ বাড়ছে। সংক্রমণের শিকার হয়েছেন খোদ জেলাশাসকের বাংলোর তিন কর্মী। সংক্রমণ বাড়ার জন্য কিছু মানুষের অসচেতনতাকেই দায়ী করা হচ্ছে। বার বার বলার পরেও মাস্ক না-পরেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। পারস্পরিক দূরত্ব-বিধি মানাকেও বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন অনেকেই। তাই আংশিক লকডাউনকে হাল্কা ভাবে দেখলে ফল ভুগতে হবে বলে সতর্ক করেছে প্রশাসন।
জেলাশাসক জানিয়েছেন, সপ্তাহে দু’দিন রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছেই। শুক্রবার থেকে মানুষকে যত কম সংখ্যক রাস্তায় বের করা যায়, সেটা নিশ্চিত করতেই পুরশহরগুলিতে আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত। এই সময় কেউ বিধি না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনলক প্রক্রিয়া শুরু হতেই জেলা সদর সিউড়ি, বোলপুর, রামপুরহাট, সাঁইথিয়া, দুবরাজপুর, নলহাটি— প্রতিটি শহরের লোকসমাগম অনেকাংশে বড়েছে। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বেপরোয়া ভাবও। পুরশহরগুলিতে জনঘনত্ব বেশি। গ্রামে থেকে প্রচুর মানুষ বিভিন্ন কাজে শহরে আসেন। দ্বিতীয়ত, বাইরে থেকে কে, কোথায়, কার বাড়িতে আসছেন সেটা গ্রামের মতো নজরদারি করা সম্ভব নয়।
প্রশাসনের লক্ষ্য, সামনের কয়েকটা দিন আংশিক লকডাউন করে গ্রাম ও শহরের মধ্যে আড়াল তৈরি করা। এবং শহরে নজরদারি। তবে সকালে যে সময় বাজার-হাটে রাস্তায় প্রবল ভিড় থাকে, সেই সময় না করে বিকাল তিনটে থেকে পর দিন সকাল ছটা পর্যন্ত আংশিক লকডাউন করে কী লাভ হল, প্রশ্ন তুলছেন সচেতন মানুষদের অনেকেই।
জেলা পরিষদের মেন্টর অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘সকাল থেকে আনলক থাকলেও ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক পরেছেন কিনা, দূরত্ববিধি বজায় রাখছেন কিনা সেটা কঠোর ভাবে নজরদারিতে থাকবে পুলিশ, প্রশাসনের। কেউ সেটা না মানলেও তার দোকান বন্ধ করানো হবে। বিকেলের আগে গ্রাম থেকে শহরে আসার রাস্তায় গার্ডরেল বসানো হবে। অকারণে বাইরে বেরোনো বন্ধ না করতে পারলে সংক্রমণ কোনওভাবেই রোখা সম্ভব নয়।’’

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন