নিজকে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী পরিচয় দিয়ে টাকা তুলছিলেন এক যুবক। এই অভিযোগে তাঁকে গণপ্রহার দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূর সঙ্গে অশালীন আচরণেরও অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধারের পর আটক করেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ময়ূরেশ্বরের কোটাসুর এলাকায়। পুলিশ জানায়, জেরায় ধৃত যুবক জানিয়েছে তাঁর নাম আবুবাক্কার সিদ্দিকী। বাড়ি সিউড়ির ইটাগড়িয়া পশ্চিমপাড়ায়। পুলিশ ও বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহম্মদবাজারের বিদ্যুৎ দফতরের ঠিকাদার রাহুল পালের অধীনে মোবাইল ভ্যানে অস্থায়ী বিদ্যুৎকর্মী হিসেবে কাজ করতেন আবুবাক্কার। রাহুলবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘আটক যুবক আমার অধীনে কাজ করতেন ঠিকই, কিন্তু তিনি ২১ এপ্রিল থেকে ছুটিতে রয়েছেন। তা ছাড়া ওই ঘটনার সঙ্গে আমার এবং বিদ্যুৎ দফতরের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
স্থানীয় সূত্রের দাবি, গত কয়েকদিন ধরে ওই যুবক বিদ্যুৎ কর্মীর পরিচয় দিয়ে কোথাও মিটারে কারচুপি,কোথাও হুকিং আছে বলে ভয় দেখিয়ে টাকা তুলছিলেন বলে অভিযোগ। এ দিনও স্থানীয় ক্যানাল মোড়ের একটি বাড়িতে যান। ওই বাড়িতে কোনও পুরুষ ছিলেন না। অভিযোগ, যুবকটি বাড়ির বধূকে বলেন, ‘মিটারে কারচুপি রয়েছে। পুরুষদের ডাকুন। মিটার দেখব।’ কিন্তু বাড়িতে কোনও পুরুষ নেই শুনে তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ওই যুবক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘টাকা তোলা এবং অশালীন আচরণের অভিযোগ মিথ্যা। ওই এলাকায় বহু বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় দেখে একজন বিদ্যুৎ কর্মী হিসেবে বৈধ সংযোগ নেওয়ার কথা বলতে গিয়েছিলাম মাত্র।’’ মহম্মদবাজার গ্রুপ ইলেকট্রিক সাপ্লাইয়ের স্টেশন ম্যানেজার তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়র কুমার উৎসব বলেন, ‘‘ধৃত যুবক আমাদের দফতরের এক ঠিকাদারের অধীনে মোবাইল ভ্যানে অস্থায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন মাত্র। বেশ কিছুদিন তিনি ছুটিতেও রয়েছেন। তাই তাঁর কৃতকর্মের দায় কোনওভাবেই বিদ্যুৎ দফতরের উপর বর্তায় না।’’