দোকান চেয়ে রাস্তায়

গত অক্টোবরে রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৯ ০২:৪২
Share:

ক্ষোভ: বিষ্ণুপুরের রসিকগঞ্জে ব্যবসায়ীদের পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার। ছবি: শুভ্র মিত্র

নবনির্মিত রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা দোকানগুলির নির্মাণকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার দাবিতে মঙ্গলবার পথে নামলেন ব্যবসায়ীরা। এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ডে ঢোকার রাস্তায় অবরোধ হয়। ওঠে প্রায় ৪০ মিনিট পরে। ব্যাহত হয় যাত্রী পরিষেবা।

Advertisement

গত অক্টোবরে রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের উদ্বোধন করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ‘বিষ্ণুপুর বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি’র অভিযোগ, উদ্বোধনের পরে প্রায় এক বছর কেটে গেলেও এখনও বাসস্ট্যান্ড পুরোপুরি চালু হয়নি। লাগোয়া অস্থায়ী তুড়কির বাসস্ট্যান্ড থেকে অনেক বাস ছাড়ছে। তাদের আরও অভিযোগ, রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে ১৩৮টি দোকানঘরের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। অবিলম্বে নির্মাণকাজ শেষ করে সেগুলি ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।

প্রায় ৪০ মিনিট বিক্ষোভ চললেও প্রশাসনের দাবি, যাত্রী পরিষেবায় কোনও প্রভাব পড়েনি। কারণ বাসগুলিকে অন্য জায়গা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষ্ণুপুর থানার আইসি শান্তনু মুখোপাধ্যায় এবং ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার এক আধিকারিক বিক্ষোভকারীদের কাছে জেলাশাসকের বার্তা পৌঁছে দেওয়ার পরে অবরোধ উঠে যায়। সূত্রের খবর, আজ, বুধবার মহকুমাশাসকের (বিষ্ণুপুর) দফতরে জেলাশাসক উমাশঙ্কর এস বৈঠক করবেন সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে।

Advertisement

‘রসিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি’র সম্পাদক অরুণ দের অভিযোগ, “বাস টার্মিনাস নির্মাণের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের দোকানঘর তৈরি করে দেওয়ার প্রশাসনিক নির্দেশ জারি হওয়ার পরেই পুরনো দোকান ভাঙতে দিয়েছিলাম। বাস টার্মিনাস তৈরি করে ঠিকাদার সংস্থা চলে গেল। কিন্তু দোকানঘর নির্মাণের কোনও তোড়জোড় নেই।’’ তাঁর দাবি, ‘‘এখন দোকান নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে পুরসভা। কী করে সেই দায়িত্ব তারা পেল, তা জানি না।’’ অরুণবাবুর অভিযোগ, ‘‘এখন ব্যবসায়ীদের থেকে দোকান নির্মাণের জন্য টাকা চাওয়া হচ্ছে। এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।”

বিষ্ণুপুর পুরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “বিনামূল্যে ব্যবসায়ীদের দোকান দেওয়া হবে, এমন প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি। কথা ছিল যতটা আমরা (নির্মাণ) করতে পারব, ততটা কাজ হবে। বাকি কাজের জন্য দোকানদারদের আর্থিক সহযোগিতা করতে হবে।”

পুরপ্রধানের দাবি, ব্যবসায়ীদের দোকানঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য তিনি-ই তদারকি করেছিলেন। শ্যামবাবুর কথায়, ‘‘অবৈধ ঘোষণা করে অনেককেই আগে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এখনও অনেক অবৈধ ব্যবসায়ী রয়েছেন। আগে ঠিক হোক, কে বৈধ, আর কে অবৈধ।’’

ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, দোকানঘরের দাবিদার ১৩৮ জন। এ প্রসঙ্গে পুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘‘৬০ জন দোকানদার নিয়মিত ভাড়া দিতেন। ১১ জন দিতেন না। তাই দোকানঘর দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা ৬০ জনের কথা ভাবতে পারি। কে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ফল বিক্রি করত, তার দায় পুরসভার নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন