Bolpur

বোমা লাগিয়ে বাইকে কেন বিস্ফোরণ, কাটেনি ধন্দ

প্রতিদিনের মতো লক্ষ্মী নিজের মোটরবাইক রবিবার রাতে বাড়ির সামনে রেখেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, দুষ্কৃতীরা বাইকের মধ্যে বোমা লাগিয়ে তার জুড়ে রেখেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৮:০৬
Share:

বিস্ফোরণের পরে মোটরবাইক পরীক্ষা করছে পুলিশ। বোলপুরের খাসপাড়ায়। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

খাস বোলপুর শহরে মোটরবাইকে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রাণে মারার ছক!

Advertisement

রবিবার রাতের ওই ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেলেও গুরুতর আহত বাইক আরোহীকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হতে রাতেই তাঁকে দুর্গাপুরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিস্ফোরণে ওই ব্যক্তির দু’টি পা ও একটি হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বোলপুরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের খাসপাড়া এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তির লক্ষ্মী ওরফে লছমি সাহানি খাসপাড়ার বাসিন্দা। বোলপুর চামারপট্টি এলাকায় একটি বাড়ি আছে তাঁর। কয়েক বছর আগে খাসপাড়ায় দোতলা বাড়ি করে সেখানে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে থাকছিলেন লক্ষ্মী। পুলিশ সূত্রের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই থেকে শুরু ডাকাতির পরিকল্পনার মতো অভিযোগ রয়েছে। মাস দুয়েক আগেও পূর্ব বর্ধমান জেলায় সোনার হার ছিনতাইয়ের একটি ঘটনায় ঘটনায় এই ব্যক্তি মূল অভিযুক্ত ছিলেন। অসামাজিক কাজকর্মে যুক্ত থাকায় একাধিক বার লক্ষ্মীকে হাজতবাসও করতে হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

Advertisement

প্রতিদিনের মতো লক্ষ্মী নিজের মোটরবাইক রবিবার রাতে বাড়ির সামনে রেখেছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের সন্দেহ, দুষ্কৃতীরা বাইকের মধ্যে বোমা লাগিয়ে তার জুড়ে রেখেছিল। লক্ষ্মীকে প্রাণে মারার পকিল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের বলেও পুলিশের একাংশের ধারণা। রাতের দিকে লক্ষ্মী কোথাও যাওয়ার জন্য বাইক স্টার্ট দেওয়া মাত্রই ঘটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের আওয়াজে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। খবর পেয়ে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) সুরজিৎ কুমার দে-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী চলে আসে ঘটনাস্থলে। তাঁরা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেন। ঘটনাস্থল থেকে বাইকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তবে, রবিবারও রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছে বাইকের ভাঙাচোরা অংশ। ঘটনার পর থেকেই লক্ষ্মীর বাড়ি তালাবন্ধ।

স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন মেটে বলেন, “তীব্র আওয়াজ শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। প্রথমে ভেবেছিলাম গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করেছে, কিন্তু পরে দেখি বাইকে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা রীতিমতো আতঙ্কিত।” জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী বলেন, “ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি, তদন্ত চলছে। এ ক্ষেত্রেও ফরেন্সিক তদন্ত হবে। নমুনা সংগ্রহ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন