dacoity

ডাকাতিতে সফল হলেও হল না শেষ রক্ষা, বাঁকুড়ায় পুলিশের হাতে বমাল গ্রেফতার তিন ‘ডাকাত’

ভর সন্ধ্যায় বাইকে করে গ্রামে ঢুকে শিশুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠতরাজ চলল। খবর পেয়ে নাকা চেকিংয়ে বাইক থামায় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বাইকের সওয়ারি ৩ জনকে। উদ্ধার হয় নগদ ও গয়না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:১৯
Share:

বাঁকুড়া জেলা পুলিশের হাতে বমাল ধৃত তিন ডাকাত। — নিজস্ব চিত্র।

ডাকাতিতে সফল হলেও শেষ রক্ষা হল না। বাঁকুড়ার রাইপুরে ডাকাতি করে পালানোর সময় পুলিশের হাতে বমাল গ্রেফতার ৩ ডাকাত। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার নগদ ৬০ হাজার টাকা ও বেশ কিছু সোনার গয়না।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, বাইকে করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাইপুর থানার কেন্দপাড়া গ্রামে হানা দেয় ৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল। গ্রামে ঢুকে ডাকাত দলটি স্থানীয় ধান ব্যবসায়ী কানাই মণ্ডলের বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে ঢুকে পরিবারের এক শিশুর কপালে বন্দুক তাক করে অবাধে লুটপাট চালিয়ে ডাকাতেরা গ্রাম ছাড়ে।

এ দিকে, গ্রামে ডাকাত পড়েছে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ খাতড়া মহকুমা এলাকার সমস্ত নাকা পয়েন্টকে সতর্ক করে। ২টি বাইকে করে ডাকাত দলটি রাইপুরের কেন্দপাড়া থেকে গোয়ালতোড়ের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। সে সময় সারেঙ্গা থানার কাটলদা ঘাটের কাছে একটি নাকা পয়েন্টে কর্মরত পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় একটি বাইককে আটকে ৩ সওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। বাইকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় নগদ ৬০ হাজার টাকা, কানাইয়ের বাড়ি থেকে খোয়া যাওয়া একটি মোবাইল ফোন এবং বেশ কিছু গয়না। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে শেষ পর্যন্ত নিজেদের দোষ কবুল করে নেন ওই ৩ জন। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতদের নাম অজয় কিস্কু, শ্যামল হেমব্রম ও হাকিম মুর্মু। সকলেরই বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থানা এলাকায়। ধৃত ৩ জনকে শুক্রবার খাতড়া মহকুমা আদালতে তোলে পুলিশ। খাতড়ার এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পর দ্রুত পদক্ষেপেই সাফল্য। ডাকাত দলের অন্য ২ সদস্যকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’

Advertisement

এ দিকে ভর সন্ধ্যায় এমন ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কেন্দপাড়া গ্রাম-সহ এলাকায়। কানাইয়ের পরিবারের সদস্য লক্ষ্মণ বলেন, ‘‘ডাকাত দলে মোট ৫ জন ছিল। প্রত্যেকের হাতেই বন্দুক ছিল। মুখ বাঁধা থাকায় কাউকেই চিনতে পারিনি। প্রথমে আমরা এতটাই ভয় পেয়ে যাই যে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলাম না।’’ স্থানীয় বাসিন্দা সাধু সর্দার বলেন, ‘‘যে ভাবে সন্ধ্যায় ডাকাতি হল তাতে ভয় তো লাগবেই। এলাকায় পুলিশ টহল দিলে কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন