পুকুরের ঘাট নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বিজেপি সমর্থকদের বাক বিতন্ডার জেরে পুলিশকে হেনস্থার শিকার হতে হল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়া থানার আমোদপুর এলাকার চিরুলিয়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, তাদের হেনস্থা করার জন্য পুলিশ এ দিন সন্ধ্যায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল পরিচালিত ভ্রমরকোল পঞ্চায়েতের চিরুলিয়া গ্রামের বসনদশা পুকুরে একটি বাধানো ঘাট নির্মাণের কাজ শুরু হয় কয়েকদিন আগে। স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের দাবি, ওই ঘাটের কাজ নিয়ম মেনে না হওয়ায় তাঁরা অভিযোগ জানান। আমোদপুর এলাকার বিজেপি নেতা তথা জেলা কমিটির সদস্য রামপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, ‘‘এ দিন সকাল দশটা নাগাদ ওই পুকুরের বাধানো ঘাট নিয়ে আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল সমর্থকদের বিবাদ হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমোদপুর ফাড়ির ইনচার্জ তন্ময় ঘোষ সদলবলে এসে পাশের কল্যানপুর গ্রামের এক বিজেপি নেতাকে ধরে অন্যায়ভাবে মারধোর করে। স্থানীয় লোকজন এর প্রতিবাদ জানায়। একসময় একটু ধাক্কাধক্কি হয় ঠিকই, কিন্তু কেউ পুলিশের গায়ে হাত দেয়নি।’’ তাঁর দাবি, ‘‘যদি পুলিশ এ ব্যাপারে মামলা করে থাকে তাহলে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’’
তৃণমূলের ভ্রমরকোলের দায়িত্বে থাকা নিবারণ মন্ডল ও পঞ্চায়েত প্রধান কবিতা সাহা বলেন, ‘‘পুকুরের ঘাট সম্পূর্ণ নিয়ম মেনে হয়েছে।’’
লাভপুরের বিধায়ক মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান। এ দিনের ঘটনা নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে মারধরের ঘটনা ভিত্তিহীন রটনা ছাড়া কিছু না। তবে এলাকার কিছু বিজেপি কর্মী নানাভাবে সন্ত্রাসের চেষ্টা করছিল।’’
তবে জেলায় পুলিশি হেনাস্থার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে থানায় ঢুকে চেয়ার-টেবিল ওল্টানো, পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ ভুরিভুরি উঠেছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে খোদ শাসকদলের নেতাকর্মীরও। বোলপুরে থানায় ঢুকে হামলার অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষের। শাসকদলের নেতা হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।