এ বার সতীপীঠ কঙ্কালীতলায় নাবালিকা বিয়ের চেষ্টা। খবর পেয়ে পুলিশের সাহায্যে তা রুখল চাইল্ড লাইন।
চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার চাইল্ড লাইনের হেল্পলাইন নম্বরে একটি ফোনে বলা হয়— বর্ধমানের বাসিন্দা ১৭ বছরের এক কিশোরীর সঙ্গে বুধবার নতুনহাটের ঝিলুর গ্রামের ২৮ বছরের যুবকের বিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় চলছে কঙ্কালীতলায়। খবর পেয়েই বিষয়টি জানানো হয় কঙ্কালীতলার সেবায়েত, পুরোহিত, সিভিক ভলান্টিয়ার, শান্তিনিকেতন থানার পুলিশকে। এ দিন সতর্ক ছিলেন সব পক্ষই। দুই বাড়ি থেকে বিয়ে দিতে কঙ্কালীতলায় আসার পরেই পুরোহিত চাইল্ড লাইনকে খবর দেয়। চাইল্ড লাইনের সেন্টার কো-অর্ডিনেটর দেবাশিস ঘোষ, সদস্য শেখ ফজলুল হক ও মধুমিতা হাজরার উদ্যোগে, পুলিশ এবং পুরোহিতের সহায়তায় নাবালিকার বিয়ে রোখা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কঙ্কালীতলা থেকে উদ্ধার ওই কিশোরীকে নবীনা হোমে এক দিনের জন্য রাখা হয়েছে। তার কাউন্সেলিং চলছে। এর পর শিশু জনকল্যাণ সমিতির নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা হবে বলে চাইল্ড লাইন সূত্রে জানা গিয়েছে। নাবালিকার মা বলেন, ‘‘খুব ছোট থেকেই মেয়েকে একা মানুষ করেছি। ওর বাবা অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে বহু দিন আগেই। মেয়ে যত বড় হচ্ছিল ততই নিরাপত্তাহীন লাগছিল। তাই বিয়ে ঠিক করেছিলাম।’’ ওই কিশোরী অবশ্য জানিয়েছে, বিয়েতে তার মত ছিল না।
কঙ্কালীতলার মূল মন্দিরে প্রবেশের দরজা পেরলেই ঠিক ডানদিকে চোখে পড়ে চাইল্ড লাইনের একটি বিজ্ঞাপন। তাতে লেখা রয়েছে নাবালিকা বিবাহ না দেওয়ার আর্জি। সঙ্গে দেওয়া রয়েছে হেল্পলাইন নম্বরও। এ বার সেখানেই নাবালিকা বিয়ের চেষ্টায় উদ্বিগ্ন সব মহলই।