সদাশিবপুরে পেটের রোগে আক্রান্ত ৫০

এলাকার বাসিন্দা অরূপ সিংহ, ধনঞ্জয় লেটরা জানান, গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় প্রথমে পেটের রোগ দেখা দিয়েছিল। পরে সেটা অন্য পাড়াতেও ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত ৫০টির বেশি পরিবার আক্রান্ত। অধিকাংশই পেটব্যথা, সঙ্গে পাতলা পায়খানা এবং বমি উপসর্গ নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:২২
Share:

দূষিত পুকুরের জলই ব্যবহার করছেন এলাকাবাসী। প্রতীকী ছবি।

এলাকায় পানীয় জলের নলকূপ ছ’মাস ধরে খারাপ। খাওয়ার জন্য অন্য পাড়ার নলকূপের জল এলাকাবাসী ব্যবহার করছেন। কিন্তু, গৃহস্থলির কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে পুকুরের দূষিত জল। এই অবস্থায় মাড়গ্রাম থানার সদাশিবপুর গ্রামে গত সাত দিনে পঞ্চাশ জন পেটের রোগে আক্রান্ত। এঁদের মধ্যে শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত শুধু রামপুরহাট হাসপাতালেই ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন।

Advertisement

খবর পেয়ে সোমবার এলাকায় যান রামপুরহাট ২ ব্লকের বিএমওএইচ অভিজিৎ রায়চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘পুকুরের জল ব্যবহার করার জন্য পেটের রোগ দেখা দিয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে হ্যালোজেন ট্যাবলেট, বমি বন্ধ হওয়ার ওষুধ দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীকে পুকুরের জলে কাপড় জামা ধুতে নিষেধ করা হয়েছে।’’ এলাকার বাসিন্দা অরূপ সিংহ, ধনঞ্জয় লেটরা জানান, গ্রামের দক্ষিণপাড়ায় প্রথমে পেটের রোগ দেখা দিয়েছিল। পরে সেটা অন্য পাড়াতেও ছড়িয়ে পড়ে। এখনও পর্যন্ত ৫০টির বেশি পরিবার আক্রান্ত। অধিকাংশই পেটব্যথা, সঙ্গে পাতলা পায়খানা এবং বমি উপসর্গ নিয়ে রামপুরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, এলাকার দক্ষিণপাড়ার একটি সরকারি নলকূপ ছ’মাস ধরে খারাপ। মেরামতির জন্য পঞ্চায়েতে জানানোর পরেও এখনও পর্যন্ত মেরামত বা নতুন নলকূপ বসানো হয়নি। সদাশিবপুর গ্রামটি হাঁসন ১ পঞ্চায়েতের অধীন। পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের জাহ্নবী লেটের অবশ্য দাবি, ‘‘পঞ্চায়েতের দশটি সংসদের কোথাও নলকূপ খারাপ নেই। সদাদিবপুর গ্রামে নতুন করে নলকূপ বসাতে সময় লাগবে। ওই গ্রামে পেটের রোগের আক্রান্তদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।’’

Advertisement

এলাকার বিধায়ক মিল্টন রসিদ জানান, নলকূপের অভাবে এলাকাবাসী পুকুরের দূষিত জল ব্যবহার করছেন। পেটের রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য এসডিও এবং বিডিওকে বলা হয়েছে। বিডিও (রামপুরহাট ২) প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সদাশিবপুর গ্রামে নলকূপ সংস্কার বা নতুন নলকূপ বসানোর ব্যাপারে প্রধানের সঙ্গে কথা বলব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement