উৎসবের মরশুমে সোমবার দুপুরে ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি থাকা রোগীদের খাবার রান্না না হওয়ায় ক্ষোভের সৃষ্টি হল রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে। পরে অবশ্য স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষের তরফে রোগীদের স্বাস্থ্য বিধান অনুযায়ী ফল, রুটি, মিষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও রোগীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১০ জন পুরুষ ও চারজন গর্ভবতী মহিলা সহ মোট ১৬ জন মহিলা রোগী ভর্তি রয়েছেন।
উৎসবের মরশুম তাই এ দিন রোগীদের জন্য রান্না করার লোকজন আসেনি। তাই দুপুরে রোগীদের খাবার রান্না না হওয়ায় কিছুটা ক্ষোভ দেখা দেয় রোগী ও তাদের আত্মীয়দের মধ্যে। জয়দেবের সাহাপুরের বাসিন্দা আমিনা বিবি, ঘুড়িষার বাসিন্দা শেখ সাহাবুদ্দিনরা জানান, জ্বরে দু’দিন ভর্তি আছি। এ দিন দুপুরে বরাবর যে পথ্য দেওয়া হত তা মেলেনি। তবে রুটি মিষ্টি পেয়েছি। শুনেছি, রাতের খাবার দেওয়া হবে।’’ এ দিকে ইলামবাজার লাগোয়া ভগবতী বাজারের বাসিন্দা শ্যাম মিশ্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘বাড়ি হাসপাতালের পাশেই। আজে সেখান থেকেই খাবার এসেছিল।’’ ইলামবাজার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবীর রায়চৌধুরী বলেন, “রান্নার লোকজন না আসায় খাবার রান্না হয়নি। তবে রোগীদের কোনও অসুবিধা হয়নি। আমরা সমস্ত রকম ব্যবস্থা করেছিলাম। রাতের জন্য যথারীতি রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
বই বিলি। চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন সকালের তরফে বই বিলি শুরু হল। রবিবার কীর্ণাহার বালিকা বিদ্যালয়ে ১২ জন ছাত্রছাত্রীর হাতে বই দেওয়া হয়। কয়েক জনকে ভর্তির টাকাও দেওয়া হয়। বই এবং আর্থিক সাহায্য পেয়ে খুশি ওই পড়ুয়ারা।