প্রতীকী ছবি।
শনিবার শুরু হয়েছিল। আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় দফা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, বীরভূম ও রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার যে যে কেন্দ্র থেকে টিকাকরণ শুরু হয়েছিল, সেই কেন্দ্রগুলি থেকেই তালিকায় থাকা প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের টিকা দেওয়া হবে। কেবল আজই নয়, টিকাপ্রদান কর্মসূচি চলবে মঙ্গলবার, শুক্র ও শনিবার।
প্রথম দিন লক্ষ্যমাত্রা না-ছুঁতে পারলেও পরের দিনগুলিতে টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা যথাযথ হবে বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ হিমাদ্রি আড়ি বলছেন, ‘‘প্রথমবারে টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নিয়ে কিছুটা জড়তা বা দ্বিধা ছিল। কিন্তু, প্রায় সর্বত্র চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্তারা এগিয়ে এসে নিজেরাই টিকা নেওয়ায় অনেক স্বাস্থ্যকর্মীও টিকা নেন। কারও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়নি বলে দ্বিতীয় দফায় আরও সাড়া মিলবে বলেই আশা।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে, একই ভাবে নজরদারি চালানো হবে এই দিনগুলিতে। তবে ‘কো ইউন’ অ্যাপ ঠিক ভাবে কাজ না করায় সব তথ্যই ম্যানুয়ালি আপডেট করতে হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরকে। জেলার দুই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ১২০০ জনকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। সেখানে টিকা নিয়েছেন ৬৫৫ জন। শতাংশের হিসেবে ৫৪ শতাংশের কিছু বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল ও ইলামবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানেও প্রাথমিক ভাবে টিকা নিতে চাইছিলেন না অনেকে। ডেপুটি সিএমওএইচ, হাসপাতাল সুপার, বিএমওএইচ এগিয়ে আসতেই মুশকিল আসান হয়। একই ছবি দেখা গিয়েছিল ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকেও। জানা গিয়েছে, পরের ধাপে যাতে তালিকায় থাকা সব প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা টিকা নেন, তাই তাঁদের সঙ্গে আগে থেকেই যোগাযোগ শুরু করেছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।
স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এমনিতেই দুই স্বাস্থ্য জেলায় করোনা যোদ্ধা হিসেবে ২০ হাজার জনের নাম থাকলেও টিকা এসেছে ২২ হাজার ডোজ। প্রত্যেকে দুটি করে ডোজ দিলে ১১ হাজারের
বেশি জনকে টিকা দেওয়া দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে তালিকায় নাম থাকা যাঁরা টিকা নিচ্ছেন না, তাঁরা পরে কখন করোনা প্রতিষেধক পাবেন সেই নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে নেই। এই তথ্য জানিয়ে স্বাস্থ্যকর্তাদের পরামর্শ, নিজের ও পরিবারের সুরক্ষার জন্যই টিকা নিয়ে নেওয়া উচিত। কেননা, করোনাভাইরাসের চেন ভাঙবে টিকাই।