স্বনির্ভর ‘দিদির’ নিজস্ব দোকান

বান্দোয়ান যাওয়ার পথে, মানবাজারের ব্লক মোড়ের কাছে রাস্তা ধারে দেখা গেল এমনই একটি দোকান। নাম— ‘দিদিদের দোকান’। ভিতরে থরে থরে রাখা আছে আয়ুর্বেদিক সাবান, ধূপ, কাগজের কলম, কালমেঘের বড়ি, ঘর সাজানোর নানা জিনিস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া ও মানবাজার শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:৪৯
Share:

তৈরি: বোরোর ব্লক মোড়ের কাছে। নিজস্ব চিত্র

শুধু উৎসবে-উপহারে নয়, এ বার নিত্যপ্রয়োজনেও ‘স্বনির্ভর’ হবে পুরুলিয়া। আগে বিভিন্ন মেলায় পসরা নিয়ে যেতেন বিভিন্ন স্বনির্ভর দলের সদস্যারা। এ বার স্থায়ী দোকানও হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার থেকে পুরুলিয়ার সমস্ত ব্লকে এমন দোকান একটি করে খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিচালনা করছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অভিজ্ঞ সদস্যারা। বিভিন্ন স্বনির্ভর দল তাঁদের তৈরি জিনিস ওই দোকানে দিয়ে যাবেন। সেখান থেকেই সারা বছর বিক্রিবাটা চলবে।

Advertisement

বান্দোয়ান যাওয়ার পথে, মানবাজারের ব্লক মোড়ের কাছে রাস্তা ধারে দেখা গেল এমনই একটি দোকান। নাম— ‘দিদিদের দোকান’। ভিতরে থরে থরে রাখা আছে আয়ুর্বেদিক সাবান, ধূপ, কাগজের কলম, কালমেঘের বড়ি, ঘর সাজানোর নানা জিনিস। লোকজন আসছেন। কেনাকাটা করছেন। অমিতা মাহাতো ও শ্রাবণী মান্ডির এত দিন পরিচয় ছিল স্বনির্ভর দলের সদস্য হিসেবেই। এখন থেকে তাঁরা ‘দিদিদের দোকানের’ পরিচালিকা। বলছিলেন, ‘‘নতুন অভিজ্ঞতা। অনেকেই আসছেন। জানতে চাইছেন। খদ্দেরদের চাহিদার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। বিভিন্ন স্বনির্ভর দলকে সেই ব্যাপারে বলতেও পারব।’’

মানবাজার ১ ব্লকের অফিস ঘরের এক প্রান্তে সদস্যদের হাতের তৈরি জিনিসপত্রের বিক্রি শুরু হয়েছে। ধানাড়া সঙ্ঘের পক্ষে রাসমণি পাল বলেন, ‘‘আনন্দধারা প্রকল্পে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর হাতে তৈরি জিনিসপত্র কিনে আমরাই বিক্রয়কেন্দ্র গড়েছি। প্রথম থেকেই ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’

Advertisement

বান্দোয়ানেও রাস্তার পাশে দোকান দিয়েছেন স্বনির্ভর দলের মহিলারা। সেখানে আবার পসরা অন্য রকমের। রয়েছে বাবুই ঘাস দিয়ে তৈরি ঘর সাজানোর জিনিস, ফাইল, কলমদানি, ল্যাম্পশেড। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার জানান, কোথাও স্বনির্ভর দলের সদস্যারা মুখোশ তৈরি করছেন, কোথাও কেক তৈরি করছেন, কোথাও ঢেঁকিছাঁটা চাল। সমস্তটাই এ বার ব্লক এলাকার মানুষের হাতের নাগালে থাকবে। তিনি বলেন, ‘‘উৎসব বা মেলায় ক’দিনই বা আর বিক্রির সুযোগ থাকে! সেই কথা ভেবে স্বনির্ভর দলগুলির নিজস্ব বাজার ধরে দেওয়ার জন্য এই উদ্যোগ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন