অশালীনতার অভিযোগে শিক্ষককে মার

ছাত্রীর প্রতি অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলে স্কুলের ঢোকার সময় এক শিক্ষককে মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শনিবার পুরুলিয়ার হুড়া থানার লধুড়কা হাইস্কুলের ঘটনা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হুড়া শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৬ ০০:৪৯
Share:

ছাত্রীর প্রতি অশালীন আচরণের অভিযোগ তুলে স্কুলের ঢোকার সময় এক শিক্ষককে মারধর করলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। শনিবার পুরুলিয়ার হুড়া থানার লধুড়কা হাইস্কুলের ঘটনা।

Advertisement

খবর পেয়ে পুলিশ এসে বছর পঞ্চাশের ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে স্থানীয় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করায়। পরে সেখান থেকে তাঁকে বাঁকুড়া মেডিক্যালে রেফার করা হয়। এই ঘটনার জেরে শনিবার স্কুলের পঠনপাঠন ব্যহত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘‘ওই ছাত্রীটিকে স্কুলেরই কিছু ছাত্র কয়েক দিন ধরে উত্যক্ত করছিল। আমার নজরে আসায় ওকে স্টাফরুমে ডেকে সতর্ক থাকতে বলেছিলাম। তার এই প্রতিদান দিল!’’

স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার বিকেলে। সপ্তম শ্রেণির অভিযোগকারিণী ছাত্রীর দাবি, সপ্তম পিরিয়ডের পরে ওই শিক্ষক তাকে স্টাফরুমে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফাঁকা ঘরে তিনি ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।

Advertisement

ছাত্রীটির পরিবারের দাবি, শুক্রবার বিকেলে বাড়ি ফিরে সে মাকে বিষয়টি জানায়। পরিবারের থেকে প্রতিবেশীরাও খবর পান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে ঢোকার সময় গেটের সামনে ওই শিক্ষককের উপরে কয়েকজন চড়াও হন। তাঁকে মারধর করা হয়। কোনও রকমে পালিয়ে তিনি স্কুলের ভিতরে ঢুকে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ দিকে, শিক্ষককে মারধর করা হচ্ছে দেখে স্থানীয় শ্যামনগর গ্রামের আনন্দ মণ্ডল নামে এক যুবক তাঁর মোবাইলে ঘটনার ছবি তুলছিলেন। তাঁর অভিযোগ, শিক্ষকের উপরে যাঁরা চড়াও হয়েছিল, তারা তার উপরেও চড়াও হয়। মারধর করে তার জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ উঠেছে। যদিও সেই দাবিও অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। লধুড়কা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ পুইতুণ্ডি বলেন, ‘‘ওই ছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগপত্রটি পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন