তালিবপুর হাইস্কুল মাঠে বিজেপি-র কর্মিসভা। শুক্রবার ছবিটি তুলেছেন বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
পাড়ুইয়ের বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের একাধিক এলাকা থেকে শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপি-তে। শুক্রবার বিজেপি-র পাড়ুই থানা কমিটির উদ্যোগে বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের তালিবপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি কর্মী সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই কর্মী সভায় তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের যুব সভাপতি ধ্রুব সাহা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার সন্ধ্যায় পাড়ুই থানার সিউড়ি ২ নম্বর ব্লকের বনশঙ্কা পঞ্চায়েতের তালিবপুর গ্রামে এক কর্মী সভার আয়োজন করে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির পাড়ুই থানা কমিটির চেয়ারম্যান শেখ সামাদের নেতৃত্বে এই এলাকায় ফের জমি আরও শক্ত করতে চাইছে বিজেপি। তাই এলাকায় এলাকায় কর্মী সভা এবং জনসভা করে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মনোবল আরও চাঙ্গা করার উদ্যোগ নিয়েছে দল। কখনও আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কলকাতা থেকে রাজ্য নেতৃত্ব এবং রাজ্যের এক মাত্র বিধায়ক দৌড়ে আসছেন। আবার কখনও দলীয় শহিদের স্মরণে আসছেন রাজ্যনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তারই মাঝে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় মিটিং, মিছিল এবং সভা সমাবেশের উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি। দিন কয়েক আগে বিজেপি নেতা নিমাই দাস এক খুনের ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন। এ দিন বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্বের পক্ষে নিমাই দাস, উজ্জ্বল মজুমদার, বলাই চট্টোপাধ্যায় প্রমুখের উপস্থিতিতে তৃণমূল থেকে শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপি-তে যোগ দেন।
এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, এলাকায় সন্ত্রাস করার অভিযোগ তুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বিজেপি-র পাড়ুই এলাকার স্থানীয় নেতৃত্ব। ২০১৬ বিধানসভা ভোটের জন্য সকলকে প্রস্তুতি নিতেও জানান বক্তারা। উল্টো দিকে, তৃণমূল নেতৃত্বের পাল্টা দাবি, এ দিন দল ছেড়ে ওই এলাকার কোনও কর্মী-সমর্থক বিজেপি-তে যোগ দেননি। বিজেপি মিথ্যা প্রচার করছে বলে তৃণমূলের দাবি।